১৬ জুলাই ২০১৫: রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বাংলাদেশ সফরে আসছেন বলে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্দার নিকোলায়েভের বরাতে বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেল টোয়েন্টিফোর জানায়, চলতি বছরেেই বাংলাদেশ সফরে আসছেন পুতিন।পুতিনের সফরের আগে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা।
আলোচিত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের চূড়ান্ত চুক্তি হতে পারে কয়েক মাসের মধ্যেই। নিকোলায়েভের বরাতে টুয়েন্টি ফোর জানায়, ওই সময়েই বাংলাদেশে আসার সম্ভাবনা রয়েছে ভ্লাদিমির পুতিনের।
২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রাশিয়ার সাথে পুরনো সম্পর্ক ঝালাইয়ে হাত দেয় শেখ হাসিনার সরকার। এরই মধ্যে ২০১৩ সালে মস্কো সফর করেন শেখ হাসিনা। ওই সফরে, রাশিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র কেনা, পরমানু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারে প্রযুক্তি বিনিময়সহ বেশ কয়েকটি চুক্তি সম্পন্ন হয়। ঐ সময়েই রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়ে আসেন প্রধানমন্ত্রী। রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলছেন, শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে ক্রেমলিন।
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্দার এ নিকোলায়েভ জানান, ‘ওই আমন্ত্রণ ক্রেমলিন গ্রহণ করেছে। রাষ্ট্রপ্রধানের সফরে গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয়ের চূড়ান্ত মিমাংসা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মস্কো সফরের পর…সম্পর্ক উন্নয়নে অনেক বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে। আরো কিছু বিষয় নিয়ে আমরা আলাপ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। প্রেসিডেন্ট পুতিনের সফর নিয়েও, আমরা আগ্রহভরে এখন অপেক্ষা করতেই পারি’
রাশিয়ার সাথে চুক্তির অংশ হিসেবে পাবনার রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎ চুল্লী নির্মানের পথে বেশ খানিকটা এগিয়েছে বাংলাদেশ। বিলিয়ন ডলারের এই প্রকল্পের চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষরের আগের প্রায় সব কাজই শেষ হয়েছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের ইঙ্গিত, ওই চুক্তি স্বাক্ষরের সময়ই ঢাকায় পা পড়বে বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী রাষ্ট্রপ্রধান ভ্লাদিমির পুতিনের।
নিকোলায়েভ আরও বলেন, ‘ আপনার সাথে আলোচনায়, একটু আগেই এ বিষয়ে আমি ইঙ্গিত করেছি। প্রেসিডেন্ট পুতিনের ঢাকা সফর হবে। আর এই সফর যে আগামীকালই হবে সেটা বলতে পারি না। তবে, বড়ো কিছুর দিকে আমরা তাকাতেই পারি।’
আর রূপপুরে পারমাণবিক চুল্লী নির্মানের চূড়ান্ত চুক্তির আগে এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে আলাপ-আলোচনা চলছে বলেও জানান রাষ্ট্রদূত নিকোলায়েভ। বলেন, ‘ মন্ত্রীসহ, সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা ওই চুক্তির বিষয় নিয়ে সফর বিনিময় করছে। সামনের কয়েক মাসে এরকম কিছু সফর আরও হবে। যেভাবে কাজ চলছে, তাতে আশা করতে পারি, এ বছরের শেষ অথবা আগামী বছরের শুরুর দিকে এই চুক্তি হতে পারে।’
ভ্লাদিমির পুতিন ঢাকায় পা রাখলে, সেটিই হবে রাশিয়ার কোন প্রেসিডেন্টের প্রথম বাংলাদেশ সফর।
সূত্র: প্রিয়.কম
প্রলভোন নাতো…