১৬ জুলাই ২০১৫: জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করেছেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে আটটায় গণভবনে যান তিনি।
এ সময় বঙ্গবন্ধু কন্যার সাথে একান্তে বৈঠক করেন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক। বৈঠকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকালে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
মাত্র এক সপ্তাহ আগে সৈয়দ আশরাফকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে দিয়ে দফতরবিহীন মন্ত্রী করা হয়। প্রথম থেকেই গুঞ্জন শুরু হয় তিনি কি দফতরবিহীন থাকবেন, নাকি দফতর ফিরে পাবেন?
দলের সিনিয়র নেতারা গণমাধ্যমের নিকট এমন মন্তব্য করেন যে, দলকে সময় দেয়ার জন্যই আশরাফকে দফতরবিহীন মন্ত্রী করা হয়েছে। এসব মন্তব্যের মাত্র সাত দিনের মাথায় নতুন দফতর পেলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। সাতদিন দফতরবিহীন থাকার পর আশরাফকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
দফতরবিহীন মন্ত্রী হওয়ার পর থেকে গতকাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সাথে কয়েক দফা বৈঠক করেছেন সৈয়দ আশরাফ। তবে বৈঠকের বিষয়ে কোন কথাই বলেননি তিনি।
এদিকে আশরাফকে জনপ্রশাসন মন্ত্রী করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা প্রজ্ঞাপনের বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে কোনো কথা বলতে রাজি হননি মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা।
প্রসঙ্গত দীর্ঘ সাড়ে ছয় বছর ধরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়টি নিজের কাছেই রেখে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত বছর সরকার গঠনের পর পদোন্নতি-বদলির গুরুত্বপূর্ণ এই মন্ত্রণালয়ে ইসমত আরা সাদেককে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেন তিনি। সংস্থাপন মন্ত্রণালয় নাম বদলে জনপ্রশাসন হওয়ার পর সৈয়দ আশরাফই হলেন এই মন্ত্রণালয়ের প্রথম পূর্ণ মন্ত্রী।