০৭ জুলাই, ২০১৫: দক্ষিণ আফ্রিকা দলের মুসলিম ক্রিকেটার ওয়েন পারনেলকে ফোন করে অজ্ঞাতনামা কেউ একজন তাকে ‘সন্ত্রাসী’ বলেছেন। সেই সঙ্গে হোটেলের নিচে নামলেই তাকে দেখে নেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন। একদিন আগের এই ঘটনাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েই তদন্ত করছে দেশের গোয়েন্দা বিভাগগুলো। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা দল এতো গুরুতর মনে করছে না ব্যাপারটাকে। তারা মনে করছে এটা কোনো লোকের রসিকতা বা বোকা বানানোর চেষ্টা মাত্র।
ঘটনা ঘটেছিলো প্রথম টি-টোয়েন্টির দিন, রবিবার। মাঠে রওনা দেওয়ার আগে হোটেলরুমে একটি অজ্ঞাতনামা ফোন পান পারনেল। গতকাল বিসিবির নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর (অব.) হোসেন ইমাম বলছিলেন ঘটনাটা, ‘ফোনকারী তাকে বলে যে, সে (পারনেল) এখানে এসেছে বাংলাদেশের ক্ষতি করতে এবং সে পারনেলকে ছাড়বে না।’
ঘটনাটি বিসিবি দ্রুত রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে জানায়। তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন মেজর (অব.) ইমাম। তবে ল্যান্ড ফোন থেকে কলটা আসায় একটু সময় লাগছে বলে তিনি বলেছেন, ‘সেল ফোন থেকে কল করা হলে ধরে ফেলাটা সময়ের ব্যাপার ছিল। ল্যান্ড ফোন থেকে কল করায় একটু সময় লাগছে।’
তবে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের ম্যানেজার মোহাম্মদ মুসাজি, যিনি নিজেও মুসলিম, তিনি বলছেন, তারা এতোটা গুরুতর মনে করছেন না ঘটনাটা, ‘হ্যাঁ, খেলার দিন এরকম একটা কল এসেছে। তবে আমরা মনে করেছি, কেউ রসিকতা করার চেষ্টা করেছে বা ওকে বোকা বানাতে চেয়েছে।’
তবে ঘটনার গুরুত্ব অন্য জায়গায়। বিসিবি ও দক্ষিণ আফ্রিকা দল চিন্তিত এই বিষয়ে যে, এটা রসিকতা হলেও এমন ফোন কল পারনেলের রুমে গেলো কী করে!
নিয়ম অনুযায়ী কোনো খেলোয়াড়কে হোটেল রুমে সরাসরি কেউ ফোন করতে পারে না। হোটেল কর্তৃপক্ষ ফোনকারীর পরিচয় নিশ্চিত না হয়ে কল পাঠানোর কথাও নয়। এ বিষয় নিয়েই দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছেন আফ্রিকান দলটির ম্যানেজার, ‘আমরা এটাকে রসিকতাই ভাবছি। কিন্তু কথা হল, একজন অজ্ঞাতনামা কলার কী করে পারনেলের রুমে কল করতে পারলো? এটা তো দুশ্চিন্তার ব্যাপার।’
ঠিক একই কথা বলে মেজর (অব.) হোসেন ইমামও বলছেন, তারা এটা নিয়ে চিন্তিত। আর হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছে তারা এ ব্যাপারে ব্যাখ্যাও চেয়েছেন। কারণ, আন্তর্জাতিক নিয়মের পাশাপাশি নিরাপত্তার স্বার্থে এমন নির্দেশনা আলাদা করেও হোটেলকে দেওয়া হয় বলে বলেছেন এই নিরাপত্তা উপদেষ্টা।
সূত্র: ইত্তেফাক