৫ জুলাই ২০১৫: ব্রাজিল থেকে আমদানি করা গম খাওয়ার উপযোগী বলে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করেছন খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ফয়েজ আহমদ।
মহাপরিচালক ছাড়াও পরিচালক (সংরক্ষণ) ইলাহী দাদ খান স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করে এই দাবি করে খাদ্য অধিদফতর। পরে আদালত ব্রাজিল থেকে আমদানি করা গমের ওপর আদেশের জন্য ৮ জুলাই পরবর্তী তারিখ ঠিক করেন। রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এই আদেশ দেন।
এর আগে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট আদালতে খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের পক্ষে রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে চারটি প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার অনুলিপি দাখিল করা হয়।
আদালতে শুনানিতে ছিলেন রিটকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন তাপস কুমার বিশ্বাস। পরে রিটকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আদালতের কাছে সময় আবেদন করেছিলাম। তাই আগমী ৮ জুলাই পরবর্তী তারিখ ঠিক করেছেন। তিনি বলেন, খাদ্য অধিদপ্তরের প্রতিবেদন আংশিক এক ত্রুটিপূর্ন। কারণ সায়েন্স ল্যাবরেটরীর পরীক্ষায় গমে পোকা ছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে গত ৩০ জুন গম খাদ্য উপযোগী কি না তা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জানাতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ওই দিন খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য বলা হয়।
এর আগে গত ২৯ জুন গম আমদানির বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন অ্যাডভোকেট পাবেল মিয়া।