ব্রেকিং নিউজ
Home / প্রচ্ছদ / শেখ মুজিব কথা বলার অধিকারও কেড়ে নিয়েছিলেন : লন্ডনে তারেক রহমান

শেখ মুজিব কথা বলার অধিকারও কেড়ে নিয়েছিলেন : লন্ডনে তারেক রহমান

Lযুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত প্রবাসী কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন

১৯৭৪ সালে শেখ মুজিবুর রহমান মানুষের কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়ে মাত্র ৪টি পত্রিকা রেখে সকল পত্রিকার বন্ধ করেছিলেন।
মতবিনিময় সভায় বেশ কয়েকজন বক্তা তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, দেশের সন্ত্রাস দুর্নীতিতে প্রধান দুই রাজনৈতিক দুটি দল ক্ষমতায় গিয়ে প্রায় একই ধরনের কার্যলাপে লিপ্ত থাকে। প্রধান দুই দলের মধ্যে তেমন কোন পার্থক্য নেই। এর জবাবে তারেক রহমান আওয়ামীলীগ থেকে বিএনপির প্রার্থক্য তুলে ধরে বলেন,
যে আওয়ামীলীগ ১৯৭১ সালের আগ পর্যন্ত সারাজীবন আন্দোলন সংগ্রাম করেছে গণতন্ত্রের জন্য, সেই আওয়ামীলীগ দেশ স্বাধীনের পর তারা যখন ক্ষমতায় আসল তখন ২ বছর না পেরোতেই গণতন্ত্র হত্যা করেছিলো। ১৯৭৯ যখন জিয়াউর রহমান দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেলেন। এর ১ থেকে দেড় বছরের মাথায় গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। বহু দলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি বলেন, যে গণতন্ত্র মানুষের কাছ থেকে আওয়ামীলীগ তথা শেখ মুজিব কেড়ে নিয়েছিলো সেই গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। এটি হচ্ছে প্রথম পার্থক্য। তিনি বলেন, গণতন্ত্র বা রাজনীতি হচ্ছে মানুষের মতামত প্রকাশের অধিকার। আমি আপনি একজন মানুষ হিসেবে, আল্লাহর সৃষ্টি সেরা জীব। কিন্তু সেই কথা বলার অধিকারও ১৯৭৪ সালে কেড়ে নিয়েছিল শেখ মুজিব তথা আওয়ামীলীগ। ৪টি পত্রিকার ছাড়া সবকটি পত্রিকা বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। আপনারা যদি ইতিহাস ঘাটেন তাহলে দেখতে পারবেন। আমি সত্যি বলছি না মিথ্যা বলছি। আবার শহিদ জিয়া মানুষের কথা বলার অধিকার বাক স্বাধীনতাকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, আমরা যদি দেখি আওয়ামীলীগ গণতন্ত্রের কথা বলে, সংসদীয় গণতন্ত্রের কথা বলে কিন্তু তা প্রেসিডেন্টশিয়াল পদ্ধতিতে নিয়ে গিয়েছিল। আবার তা ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বেগম জিয়া সংসদীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, আমরা যখন ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসেছিলাম তখন স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন গঠন করেছিলাম তখন সরকার তাতে হস্তক্ষেপ করতে পারত না। সেটি ছিল স্বাধীন কিন্তু আমরা কি দেখলাম ২০০৮ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে দুর্নীতি দমন কমিশনকে সরকারের অধিনে নিয়ে গেল। এরকম অনেক পার্থক্য রয়েছে। তিনি কমিউনিটি নেতৃবৃন্দকে বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে পার্থক্য খুজতে এগুলি ভাল করে দেখার আহবান জানান।
সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক। সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমদের পরিচালনায় সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এহসানুল হক মিলন, ক্যানারি ওর্য়াপ গ্রুপের কমিউনিটি ডায়রেক্টর জাকির খান, টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের ডেপুটি মেয়র কাউন্সিলার শিরিয়া খাতুন, ডেপুটি স্পীকার কাউন্সিলার রাজিব আহমদ, ইজলিংটন কাউন্সিলের সাবেক মেয়র গোলাম জিলানী, নিউহাম কাউন্সিলের কাউন্সিলার আয়শা চৌধুরী,।

এছাড়া তারেক রহমানের পাশে মঞ্চে বসা ছিলেন টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি মেয়র কাউন্সিলার অহিদ আহমদ, গ্রেটার সিলেট কাউন্সিলের সাবেক চেয়ারপার্সন ব্যারিস্টার আতাউর রহমান, সাবেক মেয়র ছয়ফুল ইসলাম, টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের ক্যাবিনেট মেম্বার কাউন্সিলার আয়াছ মিয়া। এছাড়া ইফতার মাহফিলে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বনাথ প্রবাসী এডুকেশন ট্রাষ্টের সভাপতি মির্জা আসহাব বেগ, ব্যারিষ্টার নজির আহমদ, জামায়াত নেতা ব্যারিস্টার আবু বক্কর মোল্লা, ব্যারিস্টার নজরুল ইসলাম, জমিয়তুল উলামা ইউরোপের সভাপতি মুফতি সদর উদ্দিন, কাউন্সিলার শহিদ আলী, কাউন্সিলার সাবিনা আকতার, কাউন্সিলার মাহবুব আলম, কাউন্সিলার শাহ আলম, গ্রেটার সিলেট কাউন্সিল সাউথ ইষ্ট রিজিওনেরর সভাপতি ইসবা উদ্দিনসহ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

[Adverts]