২৯ জুন ২০১৫: বহিষ্কৃত মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর মুক্তিলাভে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে ইসলামী দল ও সংগঠন। তাকে ফের গ্রেপ্তার দাবি করেছে ঢাকা মহানগর হেফাজত। এ ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার দেশের সকল মসজিদে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে ইসলামী ঐক্যজোট। সম্মিলিত ইসলামী দলের মহাসচিব মাওলানা জাফরুল্লাহ খান বলেন, এখন মনে হচ্ছে সরকার লতিফ সিদ্দিকীকে নিয়ে যা করেছে তা ছিল আইওয়াশ। কারণ সরকার সত্যিকার অর্থে স্বঘোষিত এই নাস্তিকের বিচার করতে চাইলে তাকে মুক্তি দিত না। কোটি কোটি মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়া এই মুরতাদকে সরকার মুক্তি দিতে পারে না। তিনি বলেন, সরকারের উচিৎ ছিল তার বিচার করা। বিচারে নির্দোষ প্রমাণীত হলে তিনি খালাস পেতেন। কিন্তু সরকার তা না করে তাকে জামিন দিয়ে দিয়েছে। ওদিকে লতিফ সিদ্দিকীর জামিন বাতিল করে অবিলম্বে তাকে গ্রেপ্তার করে ফের কারাগারে পাঠানোর দাবি করেছে ঢাকা মহানগর হেফাজতে ইসলাম। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা। সন্ধ্যায় রাজধানীর বারিধারায় এক ইফতার মাহফিলে এ ঘোষণা দেন মহানগর নেতারা। লতিফ সিদ্দিকীর মুক্তির প্রতিবাদে সন্ধ্যায় তাৎক্ষনিক বিক্ষোভ মিছিল বের করে ইসলামী ঐক্যজোট। এই ইস্যুতে আগামী শুক্রবার দেশের সকল মসজিদে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সংগঠনটি। বিক্ষোভ সমাবেশে ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, মুরতাদ আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রেখে আইন করা না হলে তাগুত, জাহেলিয়াতের বিরুদ্ধে ঈমানদারদের যে গণআন্দোলন গড়ে উঠবে সেটা রুখবার সাধ্য কারও হবে না। সংগঠনের নেতা মাওলানা যুবায়ের আহমদ বলেন, আপাত দৃষ্টিতে নাস্তিক্যবাদী অপশক্তি নিজেদের যতোই শক্তিশালী ও চিরস্থায়ী মনে করুক না কেন, তারা ভেতর থেকে ক্ষয়ে গিয়ে ধসে পড়ার উপক্রম হয়েছে।