২৯ জুন ২০১৫: ‘আমরা কথায় কথায় বলি, আমাদের প্রধানমন্ত্রী নারী, স্পিকার নারী, সংসদ উপনেতা নারী, বিরোধীদলীয় নেত্রী নারী। কিন্তু এরা শোপিস। বাইরে কিন্তু এ অবস্থা নেই। বাইরে নারীরা অসহায়।’ মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। দশম সংসদের দ্বিতীয় বাজেট অধিবেশনে সোমবার ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এমন মন্তব্য করেন তিনি। এরশাদের এমন মন্তব্যের পর পরই সংসদে উপস্থিত নারী সদস্যরা প্রতিবাদ শুরু করেন। এরশাদ বলেন, ‘বাইরে কিন্তু নারীরা অসহায়। মনে আছে ২১ ফেব্রুয়ারি রাতের কথা। নারীরা শহীদ মিনারে থাকেন না, যায় না। কোনো নারী সেখানে যায় না। কেননা ভয়ে যায় না। আমি যদি ভুল কোনো কথা বলে থাকি তাহলে উইথড্রো করলাম। কথা হলো মধ্যরাতে নারীরা সেখানে যেতে ভয় পায়। কেন ভয় পায়?’ নারী সদস্যরা এরশাদের কথার প্রতিবাদ করতে থাকলে তিনি তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘বসুন মাননীয় সদস্য বসুন, নীরবতা পালন করুন’। পয়লা বৈশাখের কথা মনে আছে? এদেশের সংস্কৃতি হলো সবাই মিলে আনন্দ করা। সেখানে যা হয়েছিল তা নিয়ে কী বিচার হয়েছে? ভিডিওতে যার যার ছবি এসেছিল তাদের বিচার হয়নি। আমার সময় একটি নারীকে এ্যাসিড ছোড়া হয়েছিল, তাকে আমি ফাঁসি দিয়েছিলাম। যে কারণে এ্যাসিড ছোড়া কমে গিয়েছিল।’ এরশাদের বক্তব্য শেষ হলে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মাননীয় সদস্য যে সব অসংসদীয় শব্দ ব্যবহার করেছেন সেগুলো এক্সপাঞ্জ করা হলো।’ এরপর বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ তার বক্তব্যের সময় হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। হয়ত বক্তব্যের শব্দচয়ন ঠিক ছিল না।’