২৮ জুন ২০১৫: রাজনীতির অঙ্গনে গেলো ক’দিন ধরেই আলোচিত নাম মোয়াজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। সাবেক সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় করা এক দুর্নীতির মামলায় সাজা বহাল রেখে রায় দেয় আপিল বিভাগ। এরপর থেকেই তার সংসদ সদস্যপদ এবং মন্ত্রীত্ব থাকবে কিনা তা নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক।
এ রায় প্রসঙ্গে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সংবাদমাধ্যমকে বুধবার বলেছেন, ‘সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মায়ার সংসদ সদস্য পদ থাকা উচিত নয়।’
তবে রোববার এসে দুদক কমিশনার শাহাবুদ্দিন চুপ্পু রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বললেন, মায়ার সংসদ সদস্য (এমপি) পদ থাকতে কোনো বাধা নেই।
এদিকে দুদকের দায়ের করা দুর্নীতির মামলায় মায়াকে হাইকোর্টের খালাসের রায় বাতিল করে দেওয়া আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় বুধবার প্রকাশ করা হয়।
প্রসঙ্গত, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরির বিরুদ্ধে যে দুর্নীতির মামলা ঘিরে এই বিতর্ক শুরু হয়েছে, তা দায়ের করা হয় বিগত ‘সেনা সমর্থিত’ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে। অবৈধভাবে ছয় কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের এই মামলায় তাকে ২০০৮ সালে ১৩ বছরের দণ্ড দেয়া হয়। হাইকোর্ট ২০১০ সালে রায়টি বাতিল করে। কিন্তু দুর্নীতি দমন কমিশনের এক আপীলের পরিপ্রেক্ষিতে গেলো ১৪ই জুন সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগ হাইকোর্টের রায় খারিজ করে দেয় এবং হাইকোর্টকে আপীলের পুনঃশুনানির নির্দেশ দেয়।