১৫ জুন ২০১৫: প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে বাংলাদেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার স্থানীয় সময় বিকালে লন্ডনে পার্ক লেইন শেরাটনে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় তিনি এ কথা জানান। ভারতের সঙ্গে স্থলসীমানা চুক্তি বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্যের জন্য যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তাকে এ নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
সংবর্ধনায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাথে যোগ দেন লেবার ও কনজারভেটিভ পার্টির পাঁচ এমপি। বাংলাদেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে তারা বাংলাদেশ সফরের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
পরে শেখ হাসিনা ইলফোর্ড সাউথে লেবার এমপি মাইক গ্যাপস, কার্ডিফ সেন্ট্রালের লেবার এমপি জো স্টেভেনস, ইলফোর্ড নর্থের লেবার এমপি অয়েস স্ট্রিটিং, সাটোন ও কিমের কনজারভেটিভ এমপি পল স্কালি রক্ষণশীল দলের এমপি পল স্কালির হাতে ফুলের তোড়া ও বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীর ইংরেজি সংস্করণ তুলে দেন।
সংবর্ধনার জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় ভৌগলিক অবস্থার বাংলাদেশের যে গুরুত্ব রয়েছে, সে গুরুত্ব কাজে লাগিয়ে দেশের উন্নতি করাই বর্তমান সরকারের লক্ষ্য। দারিদ্রকে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার অভিন্ন শত্রু হিসাবে উল্লেখ করে তিনি এর বিরুদ্ধে সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা আরো বলেন- আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন যাত্রায় অনেক প্রতিকূলতা এসেছে। কিন্তু সব প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করেই দেশ এগিয়ে যাবে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এবং বৃটিশ লেবার পার্টির নব
নির্বাচিত এমপি টিউলিপ সিদ্দিক। নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে টিউলিপ বলেন, “আসলে কখনো স্বপ্নেও ভাবিনি, নিজের খালার হাত থেকে ফুল পাব।” উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্দেশে বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্রী বলেন, “আপনারা দোয়া করেছেন। আপনাদের সাপোর্ট ছাড়া আমি ব্রিটিশ এমপি হতে পারতাম না।” রুশনারা আলী ও রূপা হকের সদস্য হওয়ার কথা উল্লেখ করে টিউলিপ বলেন, “আমি খুব গর্বিত বাঙালি তিনজন এমপি হয়েছে।”
আগামী ডিসেম্বরে বাংলাদেশ যাওয়ার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনার ভাগনি বলেন, “প্রথমে সিলেটে যাব। তারপর, ঢাকায়।”
অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনার হাতে মানপত্র তুলে দেন কলাম লেখক আবদুল গাফফার চৌধুরী। এসময়, তিনি শেখ হাসিনার মাথায় হাত রাখেন। শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে আবদুল গাফফার চৌধুরীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “যখনই বিপদ দেখেছি, সব সময় ওনার লেখনি সাহস জুগিয়েছে।”
আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে আবদুল গাফফার চৌধুরীর লেখার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “মাঝে মধ্যে কষ্ট দিয়েছে। সেটাও ভালো। সেটা থেকে আমরা সতর্ক হওয়ার সুযোগ পেয়েছি।”
মঞ্চে বসে থাকা গাফফার চৌধুরী এসময় মিটমিট করে হাসছিলেন।
London Bangla A Force for the community…
