বৃটেনের অন্যতম জনপ্রিয় স্ট্রিট গেইম ‘প্যাটবল’কে অলিম্পিকে নিয়ে যেতে চান বৃটিশ-বাঙালি যুবক ময়নুল আহমদ। শৈশব থেকেই খেলাধূলা তাঁর পেশা ও নেশা। ‘প্যাটবল’ খেলতেন স্কুল ও বাসা বাড়ির আঙ্গিনায় বন্ধু-বান্ধবদের সাথে। একসময় তিনি এই খেলাকে অফিশিয়াল রূপ দেয়ার কথা চিন্তা করেন। নিজের চিন্তা ও ধারণা দিয়ে তৈরি করেন অত্যাধুনিক প্যাটবল কোর্ট। সর্বপ্রথম নিজের অর্থে প্যাটবল কোর্ট তৈরী করেন তাঁরই শৈশবের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হ্যাকনীর কিংসল্যান্ড সেকেন্ডারি স্কুলে। আর এবার নিজ উদ্যোগে পাবলিক প্যাটবল কোর্ট তৈরী করলেন হ্যাকনীর হ্যামারটন হাসপাতালের বিপরীতে নেজবিট হাউজ এস্টেটের প্লে গ্রাউন্ডে। আজ ১৩ জুন শনিবার দুপুরে এই প্যাটবল কোর্টের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন হ্যাকনী বারা কাউন্সিলের স্পীকার কাউন্সিলার সেইডি এত্থি। এ সময় ময়নুল আহমদসহ স্থানীয় এলাকার ক্রীড়ামোদী তরুণ ছেলে- মেয়ে প্যাটবল খেলে আনন্দ-উল্লাসে মেতে উঠেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্পিকার সেইডি এত্থি বলেন, প্যাটবলকে অফিশিয়াল খেলা হিশেবে স্বীকৃতি আদায়ের লক্ষ্যে ময়নুল আহমদ দীর্ঘদিন যাবত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এটি অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি খেলা। এই খেলাকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়া উচিত। খেলার ব্যাপারে তরুণদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, আমি আশাবাদি ময়নুল আহমদ ও তার টিমের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলে এই খেলা এক সময় স্পোর্টস ইংল্যান্ড আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেবে। তিনি খেলার ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস ব্যক্ত করেন। প্যাটবলের রূপকার ময়নুল আহমদ বলেন, আমাদের কমিউনিটিতে তরুণদের মধ্যে খেলাধূলার চর্চা কমে যাচ্ছে। তরুণ সমাজ বিভিন্ন ধরনের জ্যাংকফুড খেয়ে নানা অসুখ-বিসুখে ভুগছে। তাদের জন্য পর্যাপ্ত খেলাধূলার ব্যবস্থা নেই। কমিউনিটির মানুষের সহযোগিতায় দেশজুড়ে স্কুল ও পাবলিক প্লেগ্রাউন্ডে অগণিত প্যাটবল কোর্ট প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এতে করে আমাদের তরুণ সমাজ খেলাধূলায় উৎসাহি হবে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এই খেলা একসময় শুধু বৃটেনেই নয়, আন্তর্জাতিকভাবে অফিশিয়াল খেলা হিসেবে স্বীকৃতি পাবে। আগামী অলিম্পিকে প্যাটবল খেলাকে অন্তর্ভূক্ত করতে আমার জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
London Bangla A Force for the community…
