১৪ জুন ২০১৫: কথিত বহুসংস্কৃতি আর ধর্মীয় উদারতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে আবারও মুসলমান সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার ঘটনা ঘটলো যুক্তরাজ্যে। এবার মুসলিম শিক্ষার্থীদের উপর রোযা পালনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সমালোচনার মুখে পড়েছে পূর্ব লন্ডনের একটি স্কুল।
মুসলিম শিক্ষার্থীদের বাবা মায়ের কাছে লিখা চিঠিতে বার্কলে প্রাইমারি স্কুলটির কৃর্তপক্ষ লিখেছে, যদিও রমজান মাসটি প্রতিটি মুসলমানের জন্যই খুবই বিশেষ একটি মাস, কিন্তু তারপরও এ মাসে স্কুলে মুসলিম শিশুদের রোযা পালন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ মাসটি স্কুলের খুবই ব্যস্ত সময় আর শিক্ষার্থীদের ওপরও প্রচুর চাপ পড়বে। তাই সামারের এ সময়ে একটি শিশু না খেয়ে এত দীর্ঘ সময় স্কুলের কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবে না।
বিদ্যালয়টি দাবি করেছে তারা গ্রহণযোগ্য ধর্মীয় সূত্রে জানতে পেরেছেন, শিশুদের উপর রোযা বাধ্যতামূলক নয়। শুধুমাত্র যারা প্রাপ্তবয়স্ক তাদের উপরই রোযাকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যদিও বিদ্যালয়টি বলেছে, প্রাপ্তবয়স্ক শব্দটি নিয়ে বিতর্ক আছে। ইসলামী শরীয়া অনুযায়ী সুস্থ থাকাকেই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হয়।
এর আগেও রোযা পালন করতে গিয়ে অনেক শিশুর অসুস্থতার অভিযোগ পেয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাই তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তবে স্কুলের এ সিদ্ধান্তে স্থানীয় মুসলিম কমিউনিটির মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় মুসলিম নেতারা বলছেন, শিশু রোযা পালন করবে কি করবে না, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে শুধুমাত্র শিশুর অভিভাবক। একজন মুসলিম নেতা মেইল অনলাইনকে বলেন, ইসলামে এমন নিয়ম আছে যে, যিনি রোযা পারনে সক্ষম হবেন না, তিনি রোযা ভাঙতে পারবেন। এছাড়া অনেক বৃদ্ধ বা খুবই অল্পবয়সী বা শারীরীকভাবে অসুস্থদেরও রোযা পালনে শিথীলতার কথা বলা আছে।
London Bangla A Force for the community…
