৮ জুন ২০১৫: মিয়ানমার উপকূলে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার হওয়া ১৫০ বাংলাদেশি অভিবাসীকে ফিরিয়ে এনেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
সোমবার দুপুরে এক পতাকা বৈঠক শেষে তাদেরকে ফিরিয়ে আনা হয়। বিজিবি ঘুমধুম পয়েন্ট দিয়ে তাদের বাসযোগে বিকেল ২টা ৫ মিনিটে বাংলাদেশের ভেতরে নিয়ে আসে। এরপর তাদেরকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আনা হয়।
এর আগে সকালে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের ঢোকেন। সকাল সাড়ে ১০টায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সেতুর বিপরীতে মিয়ানমারের ভেতরে ঢেকিবনিয়া বিজিবি ও মিয়ানমারের ইমিগ্রেশন বিভাগের সঙ্গে এক পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক চলে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বিজিবি ১৭ ব্যাটালিয়ান কমান্ডার লে. কর্ণেল খন্দকার সাইফুল আলম। মিয়ানমারের পক্ষে নেতৃত্ব দেন মংডু ইমিগ্রেশন বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর স্য নেয়ই। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও ইমিগ্রেশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও বিজিবির কক্সবাজার সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান ও মিয়ানমারের ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তরের উপ-মহাপরিচালক পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে ১৫০ বাংলাদেশী অভিবাসীকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বিজিবির কক্সবাজার সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল খালেকুজ্জামান জানান, ১৫০ অভিবাসীদের মধ্যে কক্সবাজার জেলার ২৯, নরসিংদীর ৫৬, ঝিনাইদহের ১২, টাঙ্গাইলের ৩, চট্টগ্রামের ৮, চুয়াডাঙ্গার ৪, নারায়ণগঞ্জের ৪, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৬, বান্দরবানের ৯, কুমিল্লার ১, চাঁদপুরের ১, রাজবাড়ীর ২, যশোরের ২, পাবনার ৫, বাগেরহাটের ৪, হবিগঞ্জের ১ ও নাটোরের ১ জন রয়েছেন।
গত ২১ মে মিয়ানমারের সমুদ্রসীমায় ভাসমান অবস্থায় ২০৮ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করে সেদেশের নৌবাহিনী। সম্প্রতি মিয়ানমারের পক্ষ থেকে ২০০ জনের একটি তালিকা পাঠানো হয়। তালিকাটি যাচাই-বাছাই করে ১৫০ জনকে বাংলাদেশি নাগরিক হিসাবে সনাক্ত করা হয়।