৯ জুন ২০১৫: অবশেষে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। এ খবর নিশ্চিত করেছে জনশক্তি প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান ব্যুরো (বিএমইটি)।
মঙ্গলবার রাতে বিএমইটি আরো জানায়, প্লান্টেশন ছাড়া অন্য খাতে বেসরকারিভাবে শ্রমিক নেয়ার ভিসা দেয়া শুরু করেছে মালয়েশিয়া সরকার। এরই মধ্যে ২০ হাজার ভিসাও দেশে এসেছে। যার মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছে চার’শ। শিগগিরই দু’দেশের মধ্যে শ্রমিক নিয়োগ সংক্রান্ত চুক্তি সংশোধন হবে বলেও জানান মহাপরিচালক।
মালয়েশিয়া ১৯৯১ সালের পর বাংলাদেশের শ্রমিকদের জন্য স্বপ্নের দেশ। গেল আড়াই দশকে কয়েক লাখ বাংলাদেশি মালয়েশিয়া গেছেন আর্থিক সচ্ছলতার আশায়। তবে দিনদিন খরচ বাড়তে থাকায় মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কিংবা অবৈধভাবে সেদেশে গিয়ে কাজ করার প্রবণতা বেড়ে যায়। এ অবস্থায় বাংলাদেশিদের জন্য শ্রমবাজার বন্ধ করে দেয় মালয়েশিয়ার সরকার।
অবশেষে ২০১২ সালে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া সরকারের মধ্যে চুক্তি হয় শ্রমিক নেয়ার। কথা ছিল, শুধু সরকারি ভাবেই সেখানে যাবেন তারা। তবে গত দুই বছরে গেছেন মাত্র সাত হাজার শ্রমিক। তাই অবৈধ পথে ঝুঁকি নিয়ে মালয়েশিয়া যাবার মানুষের সংখ্যাও বাড়তে থাকে।
তবে এতোকিছুর পর আবার আশার আলো দেখছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। জি টু জি পদ্ধতির পাশাপাশি বেসরকারি ভাবে শ্রমিক পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। এতে সাগরপথে মানবপাচার বন্ধ হবে বলে আশা করছে জনশক্তি রফতানিকারকদের সংগঠন বায়রা।