২৬ মে, ২০১৫: মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের আপিলের ওপর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেছে আসামিপক্ষ। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির বেঞ্চে দ্বিতীয় দিনের মতো এই যুক্তিতর্ক উপস্থাপন চলে।
মুজাহিদের পক্ষে অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুবুর হোসনে ও এস এম শাহজাহান শুনানিতে অংশ নেন। আসামিপক্ষের শুনানি শেষের পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করেন। মঙ্গলবার তার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। এরপর আসামিপক্ষ প্রয়োজন মনে করলে অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্যের জবাব দিতে পারবেন।
শুনানিতে মুজাহিদের পক্ষে খন্দকার মাহবুব বলেন, ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের দেয়া সাক্ষীদের সাক্ষ্য পর্যালোচনা আমাদের মনে হয়েছে এসব সাক্ষ্য বিশ্বাসযোগ্য নয়। এসব সাক্ষ্যের উপর ভিত্তি করে কাউকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ মতো শাস্তি দেয়া যায় না। তাই মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায় বাতিল করে তাকে খালাস দেয়া হোক। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা।
তিনি বলেন, ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন করা হয়েছিল পাকিস্তান সেনা কর্মকর্তাদের বিচারের জন্য। বঙ্গবন্ধু তাদেরকে ক্ষমা করে দেন। যদিও তারা ছিলেন যুদ্ধাপরাধের অপরাধে অভিযুক্ত। তাদের ক্ষমা করে দিয়ে আল বদর, আল শামসের বিচার করা হচ্ছে।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালের ১৭ জুলাই মুজাহিদকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ডাদেশের রায় দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। ২০১৩ সালের ১১ আগস্ট সুপ্রিমকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল দায়ের করেন মুজাহিদ। মুজাহিদের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনীত সাতটি অভিযোগের মধ্যে পাঁচটি ট্রাইব্যুনালে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
London Bangla A Force for the community…
