২৬ মে, ২০১৫: ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে দায়েরকৃত সাত মামলায় সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এসব বিচার কার্যক্রম স্থগিতের পাশাপাশি মামলাগুলো কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত। মঙ্গলবার বিচারপতি মোহম্মদ নিজামুল হক ও শহীদ আহমেদ শিবলীর ডিভিশন বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
হজ নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে ২০১৪ সালে ১ অক্টোবর ঢাকার সিএমএম আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ এম এন আবেদ রাজা। একই ঘটনায় ঢাকায় পাঁচটি মামলা ও নারায়ণগঞ্জে একটি মামলা দায়ের করেন বিভিন্ন ব্যক্তি।
এসব মামলায় একাধিকবার নিম্ন আদালতে আবেদন করেও জামিন পাননি লতিফ সিদ্দিকী। পরে একই ঘটনায় একাধিক মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি আবেদন দায়ের করেন তিনি। আবেদনে, মামলার কার্যক্রম স্থগিতের পাশাপাশি জামিন চাওয়া হয়। আজ শুনানি শেষে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে জামিন দেয় আদালত। তার পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
গত বছরের ২৮ মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টাঙ্গাইল সমিতির আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পবিত্র হজ ও প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেন লতিফ সিদ্দিকী। এই নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে দেশের বিভিন্ন আদালতে দুই ডজনেরও বেশি মামলা দয়ের করা হয়।
২০১৪ সালের ২৩ নভেম্বর রোববার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে তিনি ভারত থেকে দেশে ফেরেন। দেশে ফেরার পর পরই ধর্মভিত্তিক বিভিন্ন সংগঠন ও রাজনৈতিক দল তার গ্রেফতার দাবি করে। ২৬ নভেম্বর ধানমণ্ডি থানায় আত্মসমর্পণ করার পর লতিফ সিদ্দিকীকে কারাগারে পাঠানো হয়।