ব্রেকিং নিউজ
Home / প্রচ্ছদ / মুসলিমবিদ্বেষী সেই ভারতীয় কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা

মুসলিমবিদ্বেষী সেই ভারতীয় কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা

‘আমরা মুসলিমদের চাকরি দেই না’ বলে এক যুবকের চাকরির আবেদন প্রত্যাখ্যান করা ভারতীয় কোম্পানি হরে কৃষ্ণা প্রাইভেট লিমিটেডের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দেশটির পুলিশ। ধর্মীয় বৈষম্য উস্কে দেয়ার অভিযোগে এ মামলা করা হয়।

মুম্বাইভিত্তিক কোম্পানিটির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার ব্যাপারে পুলিশ পরিদর্শক সুরিয়াকান্ত জাগদালে জানান, ইতোমধ্যে এ ঘটনায় এফআইআর তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আইন অনুযায়ি এমন আচরণের জন্য তিন বছরের শাস্তির বিধান রয়েছে। তদন্তের পর জানা যাবে অপরাধের সঙ্গে আসলে কে জড়িত ছিল।’
এর আগে বুধবার জানা যায়, জিশান আলী খান নামের ওই মুসলিম যুবকের চাকরির আবেদন প্রত্যাখ্যান করে কোম্পানির পক্ষ থেকে ই-মেইল বাতা পাঠানো হয়। সেখানে লেখা ছিল- ‘আপনার আবেদনের জন্য ধন্যবাদ। আপনাকে দুঃখের সঙ্গে জানানো যাচ্ছে, আমরা শুধু অমুসলিম প্রার্থীদের চাকরি দিয়ে থাকি।’
ইন্টারন্যাশনাল বিজনেসে এমবিএ করা জিশান আলী খান তার বন্ধুদের সঙ্গে চাকরির জন্য আবেদন করেন। নিয়ম অনুযায়ি, গত মঙ্গলবার তিনি তার সিভি কোম্পানির ই-মেইলে পাঠান। এর ২০ মিনিটের মধ্যেই ফিরতি ই-মেইল আসে জিশানের কাছে।
তিনি বলেন, ‘আরো বেশ কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে আমিও সিভি পাঠাই। তাদের প্রায় অর্ধেককে তাৎক্ষণিকভাবে ডাকা হয়েছে। আর আমি আবেদনের ২০ মিনিটের মধ্যে একটি ফিরতি ই-মেইল পাই। সেটা পড়ে আমি অবাক হয়ে যাই।’
জিশান বলেন, ‘প্রথমে আমি এটাকে কৌতুক মনে করেছিলাম। তারা যদি আমার আবেদন গ্রহণ না-ই করতে চায় তাহলে অন্য কারণ দেখাতে পারতো।’
পরে তার এই বাজে অভিজ্ঞতার কথা লিখে ফেসবুকে একটা পোস্ট করেন জিশান। এতে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ঘটনাটি নিয়ে বেশ সমালোচনা শুরু হওয়ায় বুধবার কোম্পানির একজন সিনিয়র এক্সিকিউটিভের পক্ষ থেকে ‘দুঃখ’ প্রকাশ করে আরেকটি ই-মেইল পাঠানো হয় জিশানের কাছে।
হরে কৃষ্ণার মানবসম্পদ (এইচআর) বিভাগের প্রধান এবং সহকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহেন্দ্র এস. দেশমুখের পাঠানো সেই ই-মেইলে বলা হয়, ‘আমরা এটা পরিস্কার করতে চাই যে, লিঙ্গ, গোত্র বা ধর্ম বিবেচনায় আমাদের কোম্পানি চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে কোনো বৈষম্য করে না। কোনো কারণে কষ্ট পেয়ে থাকলে আমরা গভীরভাবে দুঃখিত।’
জিশানের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের দেয়া ই-মেইলের একটি স্ন্যাপশটে দেখা যায়, দেশমুখ আরো লিখেছেন, ‘নতুন যোগ দেয়া আমার একজন প্রশিক্ষণার্থী সহকর্মী মিসেস দিপীকা টিকে ভুল করে ই-মেইলটি পাঠিয়েছিলেন।’
এ ঘটনা ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারের পর ভারতীয় মানবাধিকার কর্মীরা সরব হয়েছেন। এ পরিপ্রেক্ষিতেই পুলিশ কোম্পানিটির বিরুদ্ধে মামলা করল।[Adverts]