বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য (ভিসি) সাপের লেজে পা দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্রলীগ সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ। একইসঙ্গে যারা যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে অবস্থান নেয় তাদের পরিণতি ভালো হবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
এ সময় বুয়েট ছাত্রলীগ সভাপতি শুভ্র জ্যোতি ও সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদকে দেওয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কারের আদেশ তুলে বুয়েট শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ছাত্রলীগ সভাপতি। আগামী ১১ তারিখের মধ্যে তাদের দাবি মেনে না নেওয়া হয় তাহলে দেশব্যাপী কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
সোমবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে বুয়েট শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা ও বুয়েট ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন বদিউজ্জামান সোহাগ।
এর আগে মধুর ক্যান্টিন থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে অপরাজেয় বাংলায় গিয়ে সমাবেশ মিলিত হয়।
বদিউজ্জামান সোহাগ বলেন, ‘শুভ্র ও সাঈদ অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছে। কেউ যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে। কেউ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে কথা বলতে গেলে তাকে এত বড় শাস্তির সম্মুখিত হতে হবে সেটি কখনো কাম্য নয়। আমরা আশা করি আগামী ১১ তারিখের মধ্যে আমাদের দাবি মেনে নেবে প্রশাসন।’
এ সময় ছাত্রলীগ সভাপতি বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- আগামীকাল সকাল ১০টায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মানববন্ধন, ১১ তারিখ সকাল ১১টায় বুয়েট শহীদ মিনারে সংহতি সমাবেশ। সমাবেশে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সাইফুর রহমান সোহাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি মেহেদী হাসান মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক ওমর শরীফ প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায়কে কেন্দ্র করে ফেসবুকে বুয়েট শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম স্ট্যাটাস দেন- ‘জয় বাংলা শুধু একটি দলকেই উপস্থাপন করে, জয় বাংলাদেশ বলুন। এটা অরাজনৈতিক। জয় বাংলা দুটি দেশকে উপস্থাপন করে।’
অন্য একটি স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘অপেক্ষা কর এবং দেখ। দিন দিন তোমরা সবাই রাজাকারের চেয়েও অধম হবে। অবিচার কখনই ভালো হয় না।’
ওই মন্তব্যের জের ধরে গত ১২ এপ্রিল বুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীরা ওই শিক্ষককে হেনস্থা করে। ওই শিক্ষকের শাস্তি দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন কর্মসূচিও পালন করে।