বনধ রুখতে কড়া অবস্থান নিল রাজ্য সরকার। বলা হয়েছে, কাল অফিসে না এলে কর্মীদের বেতন কাটা হবে। হবে সার্ভিস ব্রেকও। হাইকোর্ট ধর্মঘট মোকাবিলায় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়ায় সরকারের হাত আরও শক্ত হয়েছে।
ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বনধের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বারও তার ব্যতিক্রম হল না। বাম-বিজেপির বনধের আগের দিন কড়া সার্কুলার জারি করল অর্থ দফতর। তাতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার বনধের দিন সব সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত অফিস খোলা রাখতে হবে। সরকারি কর্মীদের অফিসে আসতে হবে, ছুটি নেওয়া যাবে না। উপযুক্ত কারণ ছাড়া ছুটি নিলে সার্ভিস ব্রেক হবে, কাটা যাবে বেতন।
নবান্নে জেলাশাসক ও পুলিস সুপারদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেন স্বরাষ্ট্রসচিব ও রাজ্য পুলিসের DG। ধর্মঘট মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন তাঁরা। সরকারি পরিবহণ কর্মীদের রাতে ডিপোতেই রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বনধের দিন বেসরকারি বাস মালিকদের বাস চালাতে অনুরোধ করেছেন পরিবহণ সচিব। শুধু সরকার নয়, বনধ ব্যর্থ করতে আসরে নেমেছে তৃণমূলও। ধর্মঘটের প্রতিবাদে কলকাতা কর্পোরেশনের সামনে থেকে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার পর্যন্ত মিছিল করে INTTUC। দুর্গাপুরেও ধর্মঘটের বিরোধিতায় পথে নামেন তৃণমূল কর্মীরা।
বুধবার, একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ ধর্মঘট মোকাবিলায় সরকারকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। নবান্নের এ দিনের সার্কুলার এবং আদালতের আগের রায়ের ওপর ভিত্তি করে প্রশাসনকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। বনধে কেউ আক্রান্ত হলে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হতে পারবেন বলেও জানিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
ধর্মঘট নিয়ে রাজ্য সরকারকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করল সিপিআইএমের শ্রমিক সংগঠন। ধর্মঘট রুখতে একাধিক কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য। তার উল্লেখ করে সিটু নেতা শ্যামল চক্রবর্তী আজ বলেন, সরকার যুদ্ধ চাইলে যুদ্ধ হবে।
প্রশাসনে আস্থা নেই মুখ্যমন্ত্রীর। তাই দলের নেতা-কর্মীদের রাস্তায় নামাতে হচ্ছে ধর্মঘট ব্যর্থ করতে। এই মন্তব্য করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা। মানুষ সাড়া দেবে, তাঁরাই সফল করবে আগামিকালের ধর্মঘট। এই আশা প্রকাশ করেন তিনি।