তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র দখল করে জাল ভোট প্রদান ও সহিংসতার বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘কোনো মন্তব্য নাই। যা দেখেছেন তা আপনারা প্রচার করুন।’
মঙ্গলাবর দুপুরে রাজধানীর উত্তর ও দক্ষিণের দুটি কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
সকাল সাড়ে ১১টার পর নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে বের হয়ে প্রথমে ঢাকা দক্ষিণের ধানমন্ডির কাকলী হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে প্রবেশ করেন সিইসি।
এই কেন্দ্রে ভোটারদের তেমন কোনো উপস্থিতি দেখা যায়নি। এক বুথে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকে দুপুর পৌনে ১২টা পর্যন্ত মাত্র ৪৩টি ভোট পড়েছে।
এছাড়া কোনো বুথেই বিএনপি সমর্থিত মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের কোনো এজেন্টকে পাওয়া যায়নি। তবে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী সাঈদ খোকনের এজেন্ট পাওয়া গেছে সব কেন্দ্রে।
এক বুথে ফাহিমা জামিল নামের এক মহিলা মির্জা আব্বাসের ‘মগ’ প্রতীকের এজেন্ট দাবি করলেও তার কাছে কোনো আইডি কার্ড বা কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখানে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। হলে সেটা আমরা নিজেরা মিটিয়ে নিতে পারব।’
এই কেন্দ্রের পর সিইসি পরিদর্শন করেন ঢাকা উত্তরের ধানমন্ডির রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র। পরিদর্শন শেষে বের হলে সাংবাদিকরা সিইসির দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, তিন সিটিতেই ব্যাপক সহিংসতা, গোলাগুলি ও অরাজক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ প্রেক্ষাপটে কমিশনের অবস্থান জানতে চাইলে রকিব উদ্দিন বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। আপনারা যা দেখেছেন, তা প্রচার করেন।’
এ সময় সিইসির গাড়িবহর পর্যন্ত পুলিশ ও সাংবাদিকদের মধ্যে ব্যাপক ধাক্কা ধাক্কি হয়। ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান নিজে এনটিভি, বাংলাভিশন, যমুনা ও ইটিভির ক্যামেরা ম্যান ও রিপোর্টারসহ কয়েকজন সাংবাদিককে ধাক্কাতে ধাক্কাতে দ্রুত গাড়িতে উঠিয়ে দেন সিইসিকে। পরে তিনি কেন্দ্র ত্যাগ করেন।
তবে ঢাকা উত্তরের এই কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি একটু বেশি থাকলেও বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আওয়ালের এজেন্ট ছিল নামে মাত্র দু-একটা বুথে। তাও বেলা পৌনে ১২টার দিকে তারা বের হয়ে চলে যান।
একটি বুথে বাস মার্কার পক্ষে রুবেল আলম নামের একটি এজেন্টা পাওয়া যায়। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখানে কেন্দ্রের ভেতরে আমার উপর কোনো হামলা হয়নি। তবে বাইরে আমাদের লোকদের তাড়িয়ে দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘মেয়র প্রার্থী তাবিথ আওয়াল এই কেন্দ্রে আসলে তাকে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।’
“অাজকের নির্বাচনে কি হবে তা ১০০% জনতাই জানত। তবুও দেশের গনতান্ত্রিক ধারা বজায় রাখতেই এই নির্বাচনে যাওয়া। কিন্তু বর্তমান সরকার সব নীতি নৈতিকতার জলাঞ্জলি দিয়ে দেশের সব ঐতিহ্যকে ভুলন্ঠিত করে যে মহোৎসবের অায়োজন করলেন,তাতে মনে হয় অাওয়ামীলীগ নিজের কফিনের শেষ পেরেকটিও টুকে দিলেন। দেশবাসিকে অপেক্ষা করতে হবে নির্মম নিয়তির উপর ভর করে সময়ের নিশ্চিত পরিনামের উপর।
“অাজকের নির্বাচনে কি হবে তা ১০০% জনতাই জানত। তবুও দেশের গনতান্ত্রিক ধারা বজায় রাখতেই এই নির্বাচনে যাওয়া। কিন্তু বর্তমান সরকার সব নীতি নৈতিকতার জলাঞ্জলি দিয়ে দেশের সব ঐতিহ্যকে ভুলন্ঠিত করে যে মহোৎসবের অায়োজন করলেন,তাতে মনে হয় অাওয়ামীলীগ নিজের কফিনের শেষ পেরেকটিও টুকে দিলেন। দেশবাসিকে অপেক্ষা করতে হবে নির্মম নিয়তির উপর ভর করে সময়ের নিশ্চিত পরিনামের উপর।
You must get extension for the free fare and and exemplenery election.
You must get extension for the free fare and and exemplenery election.
ok
ok