সিনিয়র সাংবাদিক জাহিদ আল আমীন তার ফেসবুকে
সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন এভাবে,
বেগম জিয়া ৫ জানুয়ারীর নির্বাচন বর্জন করায় এতদিন যারা বিএনপিকে জ্ঞান দিতো, আজকের নির্বাচন তাদের জন্য একটা ভালো জবাব ! সকলের চোখের সামনে দিনে-দুপুরে এমন প্রহসনের নির্বাচন মানুষ যুগ যুগ স্মরণ রাখবে!
সিনিয়র সাংবাদিক ও নিউনেশন পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার
এহসানুল হক জসিম তার ফেসবুকে লিখেছে,
‘আল্লাহর কসম’! ‘আল্লাহর কসম’! ‘আল্লাহর কসম’!
কোন বিশেষ রাজনৈতিক মতের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে নয়; যা দেখেছি স্বচক্ষে তা-ই লিখছি। তাই কসম তিন বার। এমন নির্বাচন নজিরবিহীন। বয়স যদিও সিকি শতাব্দীর একটু বেশি, নিশ্চিত করে বলতে পারি– একশত বছরের মধ্যে এমন নির্বাচন দেখেনি কেউ। তার আগের কথা না-ই বললাম। ১০০ বছর বললাম এ কারণে, ঐ সময়টুকু যারা দেখেছে তাদের অনেককে পেয়েছি।
সকাল ৮:০০ টার আগে ভোট শেষ বহু কেন্দ্রে। আর ৯:০০ টার আগে তো ইলেকশনই শেষ। কত কেন্দ্রে সরকার দলের লোকজনও গিয়ে দেখে তাদের ভোট দেওয়া হয়ে গেছে।
ফকিরাপুলের কোমরগলি- শুরুর আগেই দখল। সাংবাদিকদের ঠেলা-ধাক্কা দিয়ে বের। শান্তিনগর- কেন্দ্রে ঢুুকতেই বিরোধি প্রাথীর ৯ এজেন্ট গ্রেফতার। সিদ্ধেশ্বরী বালিকা স্কুল- কাউন্সিলর প্রার্থী নিজেই ভোট দিতে পারেননি। দেওয়া হয়ে গেছে তার আগে। ভিকারুন্নিসা স্কুল–৯ টার দিকে পোলিং অফিসার কন, কাস্ট হয়েছে ১০০ ভোট। কিন্তু দুই বাক্সে অন্তত ৫০০‘র কম ভোট দেখিনি। সেগুনবাগিচার রহিমা স্কুল- ৯:৩০, জানালা দিয়ে দেখা গেল মারা হচ্ছে সিল আর সিল। খিলগাও স্কুল- বাইরে লাইনে দাঁড়িয়ে শত শত ভোটার। কাউকে ঢুুকতে দেয়া হচ্ছেনা। ভেতরে ভিন্ন চিত্র। ১০ টার দিকে প্রিসাইডিং অফিসার কন, ‘কি করবো। আমার কাছ থেকে ১০০০ ব্যালট ছিনিয়ে নিয়ে বক্সে ঢোকানো হয়েছে’। অনেক কেন্দ্রে রাতেই ব্যালট ঢুুকানোর কাজ শেষ হয়ে গিয়েছিল।
যা দেখেছি- লিখলাম। কোন কেন্দ্রে পাওয়া যাইনি বিরোধি প্রার্থীর এজেন্ট। প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসাররা মারছেন সিল। পুলিশ করছে সহযোগিতা। চিরকুট দেখালেই বহিরাগতদের অবাধে ঢুুকতে দিচ্ছে পুলিশ।
নয়া দিগন্তের সিনিয়র রিপোর্টার ও সাংবাদিক নেতা ফয়েজ উল্লাহ ভুইয়া তার ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে লিখেছেন,
ভোট না প্রহসন!! ৫ জানুয়ারি আর ২৮ এপ্রিল এ কোন পাথক্য দেখলামনা। সবই একদলীয়। কেন্দ্র ভেতর বাহির সব পুলিশ, ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রনে। সাধারণ ভোটার নেই বললেই চলে। বাইরে মহড়া ্আর মহড়া। ঢাকা উত্তর ঘুরে যা দেখলাম।
ইংরেজি দৈনিক দ্যা ইন্ডিপেন্ডেটের সিনিয়র সাংবাদিক তারেক মোরতাজা মাঠ ঘুরে লিখেছেন,
আম্লীগের রাজনীতির কাছে তুমরা দুগ্ধপোষ্য অপুষ্ট শিশু
কিছু আবুল আছে ঢোলের দুই পিঠে পিটায়। আহা তুমার এত মাথা ব্যথা ক্যান। বিম্পি ৫ জানুয়ারীর নিব্বাচনে যায় নাই— এটা চ্রম ভুল ছিল। কানে কানে তুমরাই তো কইছো। বিশ্বাসও করছো— ইসি কি বাল ছিঁড়তো— নির্বাচনে গেলে ক্ষমতায় যেতো বিম্পি। এ সব তো তোমগো ইন্টারনাল বয়ান।
আম্লীগের রাজনীতির কাছে যে তুমরা দুগ্ধপোষ্য অপুষ্ট শিশু সেইটা বোঝনের ক্ষমতা তোমাগো নাই। একবার ক্ষমতার স্বাদ পাইছিলা— তাই ভাবছ ক্ষমতা কী মোহনীয়— ! খালি উপভোগ করবা। ত্যাগ করতে শিখো। ত্যাগ ছাড়া আম্লীগও এত দূর আসতে পারতো না। বহু বছর ক্ষমতার বাইরে ছিল দলটি। সেইটাও ভাবো—
নগর নির্বাচনে বিম্পিকে তাড়িয়ে নেবার জন্য একজন রাষ্ট্রবিজ্ঞানীকে দোষ দ্যায় কেউ। কেউ ডিহবাহির চরম পরম আলোচিত নেতার সমালোচনা করে। বলে সরকারের বাইরে থেকেও লোকটা সরকারেই আছে। আরেকজন বিম্পি অফিসে বসে আম্লীগের কাজ কর্ম করে বলে অভিযোগ।
আরে ভাই তোমরা কই আছিলা। তারা এ সব জায়গায় যদি যাইতে পারে— তুমি পারো নাই ক্যান।
আম্লীগের টোপটা বোঝ নাই ক্যান। ঢাকা ও চট্টগ্রামের বাইরের সিটি নির্বাচনের ফল তোমাগো পক্ষে না দিলেও তারা পারত। কেন দিয়েছে— দিয়েছে বড় ফলটা তারা খাবে। সংসদ নির্বাচনটা নিজেদের অধীনে দেয়াটা জায়েজ করবার জন্য। অকাট্য প্রমাণ তখন সবার সামনে– তাজা।
এ সব বোঝার মত তোমাদের মাথায় মালের অভাব। তাই তোমরা ফাঁদে পা দিছো।
খরবদার জণগণকে জিম্মি কইরা আর রাজনীতির নোংরা খেলা খেলবা না। তোমরা আগে নিজেরা ঠিক হও; রাজনীাত বোঝো; দলের ভিত্রের দালাল মুক্ত করো— আদর্শের জন্য রাজনীতি করো— তারপর আলাপে আইসো।
যারা আমার এ আওয়াজে কষ্ট পাইছেন— তারা আমারে ত্যাগ করেন। মনে রাখা ভালো— আমি কারো সাতেও নাই পাঁচেও নাই। শান্তি চাই। তোমরা তোমাদের রাজনৈতিক দুরদর্শিতার অভাবে— কৌ্শল নির্ধারণে ব্যর্থ হয়ে জণগণকে জিম্মি করবা— তা হবে না। তা তুমি বাবা আম্লীগ হও; বিম্পি হও, জমাত -জাতীয়পার্টি— বাম রাম যাই— হও!
শান্তি চাই।
প্রকাশিতব্য আমাদের নতুন সময় এর বার্তা সম্পাদক মোর্শেদুল আলম চৌধুরী তার ফেসবুকে লিখেছেন,
ঢাকা দক্ষিণের প্রায় ২৫টি কেন্দ্রের শ-খানেক বুথে গিয়ে ভোটগ্রহণের চিত্র দেখলাম। প্রিজাইডিং, পোলিং কর্মকর্তা ও এজেন্টদের সঙ্গে কথাও বললাম। কী দেখেছি- না বললে হয় না!