অন্যায় করতে করতে সীমা ছাড়িয়েছেন নারায়ণস্বামী শ্রীবাসন। দুর্নীতির সঙ্গে নিজের নামটাকে এমনভাবে জড়িয়ে ফেলেছেন যে, এই দুটাকে আলাদা করা মুশকিল। এতসব অন্যায় কাজের সঙ্গে সখ্য থাকার পরও আইসিসির চেয়ারম্যানের পদে আসীন ভারতের এই বিতর্কিত সংগঠক।
বিশ্বকাপের ফাইনালে জয়ী দলের হাতে আ হ ম মুস্তাফা কামালকে ট্রফি তুলতে না দিয়ে শ্রীনি জানান দিয়েছিলেন, এই ভারতীয় লোকটি অত্যন্ত একরোখা। এর জন্য কম সমলোচনা শুনতে হয়নি তার। তবে শ্রীনি কি সেসব আমলে নেওয়ার লোক? প্রশ্নটা অবশ্য কোটির টাকার।
সম্প্রতি তার নামে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। এবার ফেঁসে যাচ্ছেন ‘প্রতারক’ শ্রীনি। কী এমন প্রতারণা করলেন ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থার সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি? শ্রীনিকে ধরিয়ে দিচ্ছে তার দেশ ভারতই।
ইন্ডিয়া সিমেন্টসের ব্যালান্স শিটে চেন্নাই সুপার কিংসের বর্তমান ব্র্যান্ড ভ্যালু দেখানো হয়েছে ৬০০ কোটি রুপি। কিন্তু চেন্নাইয়ের ট্রান্সফার মাত্র ৫ লাখ রুপি দেখিয়ে বোর্ডকে ৩০ কোটি টাকা কর ফাঁকি দেওয়ার অপচেষ্টা করেন শ্রীনি। তাই বোর্ডের সঙ্গে প্রতারণার দায়ে শ্রীনির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিসিআইয়ের এক কর্তা জানান, বোর্ডের সঙ্গে প্রতারণার দায়ে শ্রীনি এবং আইপিএল সিইও সুন্দর রামন দুজনকে এখনই বহিষ্কার করা উচিৎ।
এদিকে শ্রীনিকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়ে বোর্ডের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট শশাঙ্ক মনোহর বলেন, ‘এখন বোর্ডের সব ক্ষমতা জগমোহন ডালমিয়ার হাতে। বোর্ডের সংবিধানের আর্টিকেল ৩৮ অনুযায়ী তিনি যদি কোনো অভিযুক্ত ব্যক্তিকে (শ্রীনি/রামন) বহিষ্কার করতে চান, সেটা ওয়ার্কিং কমিটির অনুমোদন ছাড়াই করতে পারেন।’