ইউক্রেনের মাইদান চত্বরে গত বছরের ইউরোপীয় ইউনিয়নপন্থী সহিংস বিক্ষোভের আয়োজন করেছিল মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ। পোল্যান্ডের আইনজীবী এবং রক্ষণশীল কোরউইন পার্টির নেতা জানুসৎ কোরউইন-মিক্কি এ চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করে দিয়েছেন। পোল্যান্ডের সংবাদ মাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।
গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের কেন্দ্রস্থলে বন্দুকধারীদের গুলিতে অন্তত ৭৬ ব্যক্তি নিহত হয়েছিল।
ইউক্রেনের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ভিক্টোর ইয়ানুকোভিচ রাশিয়াকে বাদ দিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ানোর জন্য একটি চুক্তি সই করতে রাজি না হলে সংকট শুরু হয়। এর প্রতিবাদে ২০১৩ সালের নভেম্বর মাসে পাশ্চাত্যপন্থি একটি মহল দেশটির সরকার-বিরোধী বিক্ষোভ শুরু করে এবং এক পর্যায়ে তা সহিংসতায় রূপ নেয়। ২০১৩ সালে নভেম্বর মাস থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নপন্থীরা মাইদান বা স্বাধীনতা চত্বরে অবস্থান ধর্মঘট শুরু করে। এরপর রাজধানী কিয়েভের কেন্দ্রস্থলে বন্দুকধারীদের গুলিতে অন্তত ৭৬ ব্যক্তি নিহত হয়ে।
কোরউইন-মিক্কি বলেন, এ ঘটনায় জড়িত স্নাইপারদেরও পোল্যান্ডে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছিল। অস্থিতিশীলতা উস্কে দেয়ার জন্য সন্ত্রাসীরা ৪০ জন বিক্ষোভকারী এবং ২০ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা করেছে উল্লেখ করে কোরউইন-মিক্কি বলেন, শেষ পর্যন্ত এ সহিংসতা সম্পর্কে সত্য প্রকাশিত হতে শুরু করেছে।
এ ছাড়া, ইউক্রেনকে অস্থিতিশীল করতে ৫০০ কোটি ডলার খরচ করা হয়েছিল বলে মার্কিন সহকারী প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড প্রকাশ্যে যে কথা বলেছেন তাও তুলে ধরেন কোরউইন-মিক্কি।
কিয়েভে রক্তক্ষয়ী ঘটনার পর ২০১৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি প্রেসিডেন্ট ইয়ানুকোভিচকে উৎখাত করে পশ্চিমা মদদপুষ্ট গোষ্ঠীগুলো। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশটির দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে রুশপন্থীরা বিক্ষোভ শুরু হয়।