বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলি ও নির্যাতনে একের পর এক বাংলাদেশি নিহত হওয়ার ঘটনা প্রসঙ্গে বলেছেন, এক হাতে তালি বাজে না। বাংলাদেশের লোকজন যদি সীমান্ত পার হয়ে না যায়, তাহলে এ ধরনের ঘটনা ঘটে না।
বিজিবি দিনাজপুর সেক্টরের শহীদ কর্নেল গুলজার মিলনায়তনে আজ শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
বিজিবি প্রধান বলেন, ‘বিএসএফ আন্তর্জাতিক আইন মানছে না। আমরা চাই না সীমান্তে একটিও হত্যার ঘটনা ঘটুক। কিন্তু মনে রাখতে হবে এক হাতে তালি বাজে না। আমাদের লোকজন যদি না যায়, তাহলে এ ধরনের ঘটনা ঘটে না।’
সীমান্তে চোরাচালান দমনে সৈনিকদের দুর্বলতা প্রতিরোধ এবং সৈনিকদের খোঁজ-খবর নিতে ও তাঁদের কথা শুনতে উত্তরাঞ্চল সফর করেছেন বলে বিজিবির প্রধান সংবাদ সম্মেলনে জানান।
বিজিবির মহাপরিচালক বলেন, সীমান্তে অস্থিরতা চলছে। সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার জন্য দুই দেশের সরকারের প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, সচিব এবং মহাপরিচালক পর্যায়ের প্রতিটি বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরা হয়। এ ধরনের ঘটনা পরপরই বিজিবির পক্ষ থেকে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়।
মাদক প্রতিরোধে থাইল্যান্ডের মতো বাংলাদেশেও কঠোর আইন করার সময় এসেছে মন্তব্য করে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, আইন হলে মাদক ব্যবসায়ী বা চোরাকারবারিদের বিজিবি নিজেরাই কঠোর শাস্তি দিতে পারবে। তিনি বলেন, সীমান্ত থেকে মাদকসহ চোরাচালানি এবং ব্যবসায়ীদের হাতেনাতে ধরে বিজিবি সদস্যরা থানায় মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করে। কিন্তু কিছু দিনের মধ্যেই তারা জামিন পেয়ে আরও বেশি উৎসাহ নিয়ে মাদক ব্যবসায় নেমে পড়ে। তিনি বলেন, ঘর থেকে মাদক প্রতিরোধ করা দরকার। সর্ব পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা দরকার। সীমান্ত এলাকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে চোরাচালান নিরুৎসাহিত করতে বেশি করে সীমান্তহাট স্থাপনের চিন্তা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি রংপুর অঞ্চলের অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান, দিনাজপুর বিজিবি সেক্টরের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক লে. কর্নেল আবদুর রাজ্জাক তরফদার, ২ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. জামাল হোসেন, দিনাজপুর বিজিবির অতিরিক্ত পরিচালক (অপারেশন) মেজর এ এস এম রবিউল হাসান এবং ২ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পরিচালক মেজর মো. আবদুল হান্নান খান উপস্থিত ছিলেন।