ব্রেকিং নিউজ
Home / বিশ্ব / প্রত্যেক ফিলিস্তিনি পরিবারের কেউ না কেউ ইসরাইলের কারাগারে

প্রত্যেক ফিলিস্তিনি পরিবারের কেউ না কেউ ইসরাইলের কারাগারে

মধ্যপ্রাচ্যে ইহুদীবাদী আগ্রাসন শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত আট লাখ ফিলিস্তিনিকে আটক করেছে যায়নবাদী ইসরাইলি দখলদাররা।

ইসরাইল ১৯৬৭ সাল থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত সময়ে যেসব ফিলিস্তিনি নাগরিককে আটক করেছে সেই রেকর্ড থেকেই এই সংখ্যা নির্ণয় করা হয়েছে।
আলজাজিরার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ইসরাইলি আগ্রাসনের শিকার এই ফিলিস্তিনি বন্দীর সংখ্যা অনুপাত করলে দেখা যায়, দেশটির মোট পুরুষ জনশক্তির ৪০ শতাংশই দখলদারদের বন্দীদশার কবলে পতিত হন। ফিলিস্তিনের প্রায় প্রত্যেক পরিবারেরই কেউ না কেউ এই নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
উল্লেখ্য, স্থানীয় সময় শুক্রবার উত্তর ওয়েস্ট ব্যাংক (পশ্চিম তীর) এলাকায় ফিলিস্তিনি বন্দী দিবস (Palestinian Prisoners Day) উপলক্ষ্যে বিক্ষোভ প্রদর্শনকালে ইসরাইলি সেনাদের সাথে ফিলিস্তিনিদের সংঘর্ষ হয়। আর এ সংঘর্ষের খবর প্রচারকালে আলজাজিরা ইসরাইলি কারাগারে ফিলিস্তিনি বন্দিদের বিষয়ে এমন তথ্য প্রকাশ করে।
এই মুহুর্তে ইসরাইলের কারাগারে বন্দী অন্তত ৬০০০ ফিলিস্তিনির ওপর সীমাহীন নির্যাতনের প্রতিবাদ এবং তাদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে প্রতিবছর এই দিবসটি পালন করেন ফিলিস্তিনি জনগণ।
শুক্রবার শতাধিক ফিলিস্তিনি এ উপলক্ষ্যে ওয়েস্ট ব্যাংকের বিলিন এলাকায় বিক্ষোভ করেন। সেখানে ইসরাইলের তৈরি সীমানা প্রাচীর থেকে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়। ক্ষুব্ধ ফিলিস্তিনিরা এ সময় ইসরাইলি সেনাদের দিকে ইট-পাটকেল ছুঁড়ে মারেন। এ ঘটনায় একজন ফিলিস্তিনি আহত হন।
এই বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজক আব্দুল্লাহ আবু রাহমা বলেন, আমরা আমাদের বন্দীদের একা ফেলে দিতে পারি না। আমরা তাদের অধিকার রক্ষায় আন্দোলন করে যাবে। কারণ, তাদের অধিকাংশকেই বিনাদোষে আটক করে রেখেছে ইসরাইলি দখলদাররা।
উল্লেখ্য, ২০১৩ এবং ২০১৪ সালে আমেরিকার নেতৃত্বে শান্তি আলোচনার সময় ইসরাইল তাদের হাতে দীর্ঘ দিন বন্দী থাকা কিছু ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছিল।
তবে, পরবর্তীতে ইসরাইলী আগ্রাসনের প্রতিবাদে ওয়েস্ট ব্যাংকে তিন ইসরাইলি তরুন নিহত হওয়ার পর শান্তি আলোচনার মধ্য দিয়ে অর্জিত সমঝোতা ভেঙ্গে যায় এবং ইসরাইল শত শত ফিলিস্তিনিকে বন্দী করে।
বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের দেয়া জরিপ অনুযায়ী গত পাঁচ বছরের মধ্যে বর্তমানেই সর্বোচ্চ সংখ্যক ফিলিস্তিনি ইসরাইলি কারাগারে বন্দী রয়েছেন এবং প্রতিনিয়ত তারা সীমাহীন জুলুমের শিকার হচ্ছেন।