ব্রেকিং নিউজ
Home / ব্রিটেন সংবাদ / ব্রিকলেইন মসজিদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমানের ইন্তেকাল

ব্রিকলেইন মসজিদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমানের ইন্তেকাল

ঐতিহ্যবাহী ব্রিকলেইন জামে মসজিদের দীর্ঘকালের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান চৌধুরী বুধবার বিকেল ৪ ঘটিকার সময় সেন্ট টমাস হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না—রাজিউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। তিনি গত শুক্রবার শেষবারের মত ব্রিকলেইন মসজিদে জুম্মার নামাজ আদায় করেন। এর পর থেকে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেছেন। তার নামাজের জানাযা পরবর্তীতে জানানো হবে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও চার ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের বাইশঘর গ্রাম নিবাসী মরহুম আলহাজ্ব আব্দুল মতলিব চৌধুরীর ২য় পুত্র।

উল্লেখ্য মরহুম আতাউর রহমান চৌধুরী বিশ্বনাথ-বালাগঞ্জ-ওসমানী নগর উপজেলার সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরীর বড় ভাই।

আতাউর রহমান চৌধুরী আইয়ুববিরোধী আন্দোলন সহ বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসে সংগঠক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রবাসে তহবিল সংগ্রহসহ বিভিন্ন কর্মকান্ডে তৎপর ছিলেন। পচাত্তর পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিচারের পক্ষে প্রবাসে জনমত গড়ে তুলতেও সোচ্চার ছিলেন তিনি। ১৯৫২ সালে যুক্তরাজ্যে প্রতিষ্ঠিত বাঙালীর প্রাচীনতম সংগঠন বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন ইউকের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

ব্রিটেনে বাঙালীদের বৃহত্তম মসজিদ ব্রিকলেন জামে মসজিদের সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করেন এবং মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত এই মসজিদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছিলেন। উলে­খ্য যে- ব্রিকলেন জামে মসজিদের বর্তমান বৃহৎ পরিসর বৃদ্ধিতে তার অবদান অনস্বীকার্য। কয়েক মাস আগে প্রবাসে বাঙালীদের লাশ দেশে ফেরত পাঠানোর কার্যক্রম (ফিউনারেল সার্ভিস) চালু করেন তিনি।

৭০’র দশকে ব্রিটেনে বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনেও তিনি নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করেন। যুক্তরাজ্যে প্রথম শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠালাভেও তার অসামান্য ভূমিকা ছিল। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সংস্থা ও সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। তাদের পারিবারিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দিলশাদ রেস্টুরেন্টে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ বাংলাদেশের অনেক জাতীয় নেতৃবৃন্দ আতিথেয়তা গ্রহন করেছেন।