নাশকতার অভিযোগে পুলিশের তিন মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মিজা আব্বাসের আগাম জামিনের বিষয়ে দ্বিধা-বিভক্ত আদেশ দিয়েছে আদালত।
বুধবার দুপুরে বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।
দুজন বিচারপতির মধ্যে একজন আগাম জামিন দেওয়ার পক্ষে মত দিলেও অন্যজন তাতে দ্বিমত পোষণ করেছেন। তবে কে কোন মত দেন, তা জানা যায়নি। এই আদেশের ফলে আবেদনটি এখন তৃতীয় কোনো বেঞ্চে পাঠানো হবে।
এর আগে গত ১৩ এপ্রিল এই বেঞ্চ অগাম জামিন আবেদনের ওপর আদেশ দেওয়ার জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিল।
ওইদিন আদালত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মির্জা আব্বাসকে বুধবার পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারণা থেকে বিরত থাকতে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি তাকে গ্রেপ্তার ও হয়রানি না করার নির্দেশ দিয়েছিল।
আজ মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদনের পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন- সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন ও সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
এর আগে দুপুরে হাইকোর্টে উপস্থিত হন বিএনপির ঢাকা মহানগর কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা দক্ষিণের মেয়র প্রার্থী মির্জা আব্বাস।
বাসে অগ্নিসংযোগ ও বিস্ফোরণের অভিযোগ ২০১৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর পল্টন থানায় এবং বিস্ফোরক আইনে চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি মতিঝিল থানায় দায়ের তিন মামলায় মির্জা আব্বাসের পক্ষে আগাম জামিন আবেদন করা হয়।
মির্জা আব্বাস ৩৭টি ফৌজদারি মামলা মাথায় নিয়ে কয়েক মাস ধরে আত্মগোপনে ছিলেন। মনোনয়নপত্র দাখিল থেকে শুরু করে প্রতীক বরাদ্দ পর্যন্ত কোনো ক্ষেত্রেই তাকে দেখা যায়নি। তার পক্ষে এ কাজগুলো করেন আইনজীবীরা।
এদিকে, মির্জা আব্বাসের মগ প্রতীকে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাস। তার সঙ্গে প্রচারে দলের নেতাকর্মীরা প্রতিদিন ঢাকা দক্ষিণের বিভিন্ন অঞ্চল চষে বেড়াচ্ছেন।
যে পক্ষে রায় দিয়েছে, সে নিশ্চয় রাজাকার,
তাকে সব কিছু উলট পালট করে দেয়ার অপরাধে গুম করা হোক।
যে পক্ষে রায় দিয়েছে, সে নিশ্চয় রাজাকার,
তাকে সব কিছু উলট পালট করে দেয়ার অপরাধে গুম করা হোক।