জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে নয়াপল্টন পৌঁছেছেন বিএনপি চেয়াপারসন খালেদা জিয়া।
তিনি গুলশানের বাসা থেকে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে রওনা হয়ে পাঁচটা পাঁচ মিনিটের দিকে নয়াপল্টন দলীয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পৌঁছান।
এ সময় উপস্থিত নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়াকে স্লোগানে স্লোগানে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান। তিনিও তাদের হাত নেড়ে শুভেচ্ছার জবাব দেন।
নববর্ষের মঞ্চে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, যুবদল সভাপতি ষেয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল উপস্থিত রয়েছেন।
এদিকে, বর্ষবরণের অনুষ্ঠান ঘিরে সকাল থেকে নয়াপল্টনে জড়ো হতে থাকে বিএনপি, এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। দুপুরের পরপরই ভিড় বাড়তে থাকে।
জাসাসের শিল্পীরা একের পর এক গান পরিবেশন করে নেতাকর্মীদের সরব রাখছেন। ইতোমধ্যে নেতাকর্মীদের ভিড় কার্যালয় ছাপিয়ে গোটা রাস্তায় ছড়িয়ে পড়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তার সঙ্গে বিএনপি ও ২০-দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদেরও থাকার কথা রয়েছে।
জাসাস সাধারণ সম্পাদক ও কণ্ঠশিল্পী মনির খান বলেন, ‘প্রতিবছরই আমরা বর্ষবরণের অনুষ্ঠান করি। এবারো আয়োজন করেছি। কিন্তু প্রশাসনের অনুমতি না থাকায় রাস্তায় মঞ্চ করতে পারিনি। কার্যালয়ের নিচের ফাঁকা জায়গায় মঞ্চ করেছি।’
তিনি জানান, বিকেল পাঁচটার দিকে ম্যাডামের উপস্থিত হওয়ার কথা রয়েছে।
জানা গেছে, ১৪টি শর্তে জাসাসকে বিএনপি কার্যালয়ের ভেতরে অনুষ্ঠান করার অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন। ডিএমপির সহকারী কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে শর্তসাপেক্ষে এ অনুমতি দেয়া হয়।
চিঠিতে রাস্তায় যান চলাচলের বিঘ্ন না ঘটানো, উচ্চশব্দে মাইক বা হর্ন না বাজানো, কার্যালয়ের বাইরে কোনো মতেই অনুষ্ঠানের বিস্তৃতি না ঘটানো এবং বিকেল সাড়ে পাঁচটার মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।