ফাঁসির মঞ্চে কামারুজ্জামান ছিলেন ধীর, স্থির এবং নির্ভিক। স্বাভাবিকভাবে হেঁটে তিনি যখন ফাঁসির মঞ্চে যান তখন কোনো ভয়ভীতি কাজ করেনি তার মাঝে। ছিল না কোন অস্থিরতা।
কারাগার সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। সূত্র জানায়, রাতে গোসল শেষে এশার নামাজ আদায়ের পর নফল নামাজ পড়েন কামারুজ্জামান। ফাঁসির মঞ্চে নেয়ার আগ পর্যন্ত তিনি জায়নামাজে কুরআন তেলাওয়াতে রত ছিলেন।
এসময় কামারুজ্জামানের সেলের অতি নিকটেই চলে ফাঁসির মঞ্চ প্রস্তুতের কাজ। ফাঁসি কার্যকরের সাথে সম্পৃক্ত কর্মকর্তারা মঞ্চের পাশে গিয়ে বসেন। সোয়া নয়টায় সেলের মধ্যে কামারুজ্জামানের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন চিকিৎসক। নয়টা ৩৫ মিনিটে ১২ জনের একটি কারা কমান্ডো অবস্থান নেয় কামারুজ্জামানের সেলের পাশে। এরপর তওবা পাঠের পর্ব আসে। কামারুজ্জামান বলেন আমি নিজের তওবা নিজে পড়ব। জেলসুপার বলেন, নিয়ম অনুযায়ী ইমাম কর্তৃক তওবা পড়াতে হবে।
তওবা পড়ানোর পর কামারুজ্জামানকে রাত ১০টা ২০ মিনিটে ফাঁসির মঞ্চের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। কামারুজ্জামান তখন বলেন, আমি নির্দোষ। আমাকে অন্যায়ভাবে ফাঁসি দেয়া হচ্ছে। এরপর তিনি দোয়া এবং কুরআনের আয়াত পড়তে থাকেন। এভাবেই দোয়া পড়তে পড়তে মঞ্চের দিকে এগিয়ে যান স্বাভাবিক গতিতে।
মঞ্চে নেয়ার পর জেলসুপার হাত থেকে রুমাল ফেলে দেন ঠিক সাড়ে দশটার সময়। এরপর ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
London Bangla A Force for the community…
