কুমিল্লায় ছাত্রলীগের দুই পক্ষের গোলাগুলিতে সংগঠনটির শহর শাখার সভাপতি নিহত হয়েছেন।
নিহত সাইফুল ইসলাম কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের গোবিন্দপুর এলাকার নূরুল হুদা কালু মিয়ার ছেলে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি খোরশেদ আলম জানান, শনিবার বিকালে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে সাইফুল আহত হন। স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সকাল ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ জানায়, শনিবার বিকালে শহরের কান্দিরপাড় এলাকায় টাউন হলে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের কর্মী সভা ছিল। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতিতে কর্মী সমাবেশের পর নেতারা বেরিয়ে যাওয়ার সময় ছবি তোলার জন্য দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মাঝে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়।
এরপর সংঘর্ষ শুরু হলে ১০ জন আহত হন, যাদের মধ্যে শহর ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুলসহ ছয়জন হন গুলিবিদ্ধ।
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
গুলিবিদ্ধ সাইফুলকে শহরের বেসরকারি মুন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে রোববার সকালে তার মৃত্যু হয় বলে হাসপাতালের চিকিৎসক রুহুল আমিন রিপন জানান।
আহতদের মধ্যে গোলাম সারওয়ার কাউসার নামে ছাত্রলীগের আরেক স্থানীয় নেতাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
সভাপতি সাইফুলের নেতৃত্বাধীন কুমিল্লা শহর ছাত্রলীগের একটি পক্ষ সাংসদ আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের সমর্থক। আর সাধারণ সম্পাদক সুমন দাসের নেতৃত্বে অপর পক্ষ রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের অনুসারী বলে নেতাকর্মীরা জানান।
London Bangla A Force for the community…
