মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। তবে তার আগে কিছু নিয়মকানুন পালন করা হয়।
নিয়ম অনুযায়ী কামারুজ্জামানকে ফাঁসির মঞ্চে তোলার আগে রাত পৌনে ৯টায় গোসল করানো হয়। ৮টা ৫০ মিনিটে তার শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। একজন মাওলানা তাকে তওবা পড়ান। এর পর দুই রাকাত নফল নামাজ শেষবারের মতো পড়ে নেন তিনি। নামাজ শেষে তার কোনো শেষ ইচ্ছে আছে কি না, তা জেনে নেওয়া হয়।
এরপর তাকে ফাঁসির মঞ্চের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। ফাঁসির মঞ্চে নেওয়ার পর তার মাথায় পরানো হয় একটি কালো টুপি। এ টুপিকে বলা হয় ‘যমটুপি।’
ফাঁসির মঞ্চে তোলার পর কামারুজ্জামানের দুই হাত পেছন দিকে বাঁধা হয়। এ সময় ফাঁসির মঞ্চের সামনে উপস্থিত ছিলেন কারা কর্মকর্তা, সিভিল সার্জন ও একজন ম্যাজিস্ট্রেট। ম্যাজিস্ট্রেট একটি লাল রুমাল হাত থেকে ফেলার সঙ্গে সঙ্গে জল্লাদ ফাঁসি কার্যকর করেন।
এর আগে থেকেই ফাঁসির মঞ্চে প্রস্তুত ছিলেন জল্লাদ রাজুর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি জল্লাদ দল। মঞ্চে তোলার পর কামারুজ্জামানকে পরানো হয় ফাঁসির দড়ি। ফাঁসি কার্যকরের পর দড়িতে কিছুক্ষণ ঝুলিয়ে রাখা হয়। পরে সেখান থেকে নামিয়ে ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর অ্যাম্বুলেন্সে করে তার পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। তার পরিবারের ইচ্ছা অনুযায়ী জামালপুরের গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে বলে জানা গেছে।
It’s a good site for knowing about the world
It’s a good site for knowing about the world
Bhalo khobor
Bhalo khobor