• সিরাজুল ইসলাম শাহীন •
জনাব মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের বহুল আলোচিত রিভিউ মামলার রায় প্রকাশিত হয়েছে।যথারীতি বাদীপক্ষের কোন যুক্তিই গ্রহনযোগ্য হয়নি ।এমনকি সোহাগপুর হত্যাকান্ডের উপর লিখিত যে বইটি দলিল হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছিল সেটি বিশ্বাসযোগ্য তো হয়ইনি বরং অসত উদ্দেশ্যপ্রণোদীত লেখা মনে হয়েছে।অথচ শোনা স্বাক্ষী গ্রহনের ক্ষেত্রে চরম বিতর্কিত আইনটির দোহাই দেয়া হল। যে কোন আইনের প্রয়োগ ও ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে আপিলেট ডিভিশনের সার্বভৌম এখতিয়ারটি এখানে জীবন রক্ষার ক্ষেত্রে উপেক্ষিত হল।একই বেন্চের দ্বিমত পোষনকারী বিচারপতির যুক্তি সমূহ আমলে না নেয়ার কোন সুস্পস্ট কারণও জানা গেল না।সুতরাং ফাঁসী কার্যকরের সকল আয়োজন সম্পন্ন করে ফেলা হয়েছে।
এ রায়টিও লিখেছেন বিতর্কিত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দীন চৌধুরী(লিংক-১)।প্রধান বিচারপতি সহ অন্যরা স্বাক্ষর করেছেন।জনাব আব্দুল কাদের মোল্লার সময়ও এমন হয়েছিল।বিবাদীর আনুস্টানিক অনাস্থার পরও বিচারপতি এস.কে.সিনহা এবং বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীকে নজিরবিহীনভাবে আপিলেট বে›েচ রাখা হয়েছে।স্কাইপী কেলেংকারীতে বিচারপতি এস.কে. সিনহার নাম সুনির্দিস্টভাবে এসেছে।আজীবন বাম রাজনীতিতে সক্রিয় শামসুদ্দিন চৌধুরী বিচারপতির কোড অব কন্ডাক্ট ভংগ করে বার বার রাজনৈতিক যোগাযোগ বিশেষ করে জামায়াত বিরোধী প্লাটফর্মের সাথে সম্পর্ক রেখেছেন।সকল প্রমাণাদী সহ দুজনের প্রত্যাহারের আবেদন বার বার খারিজের সাথে রায় লেখার বিষয়টি কি প্রশ্নাতীত থাকবে?
শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লার পথ ধরে হয়তো ক্ষণজন্মা রাজনীতিবীদ জনাব মুহাম্মদ কামারুজ্জামানও এ নশ্বর পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়ে ইতিহাসের অমরত্ব অর্জন করবেন।আখেরাতে বিশ্বাসীদের দৃস্টিতে এতে তাঁর কোন ক্ষতি নেই।প্রতি ফোঁটা রক্ত থেকে অসংখ্য উত্তরসূরী তৈরী হয়ে আপাত দলীয় অভাবটুকু -বিবেকবান মানবতার হ্রদয়ের ভালবাসায় পুরণ হয়ে যাবে।কিন্তু হতভাগা এ দেশবাসী কখনও সম্ভাবনাময় কান্ডারী কামারুজ্জামান পাবে না (লিংক-২) আর শেখ হাসীনা ও তার আওয়ামীলীগকে কোনদিন ক্ষমা করতে পারবে না।
দেশের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে রাস্ট্রপতির নির্বাহী ক্ষমতা রয়েছে যে কোন দন্ড মওকুফ বা কমানোর। প্রাণ ভিক্ষার আবেদন না করলেও এ ক্ষমতা নিরংকুশ।এমন নজিরও রয়েছে ভুরি ভুরি। মাওলানা সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী (র.) ফাঁসী কাস্ট থেকে এভাবেই বেরিয়ে এসে দুনিয়াবাসীর জন্য অসাধারন অবদান রেখে গেছেন।এমন সুযোগ পেলে জনাব মুহাম্মদ কামারুজ্জামন থেকেও দেশ-বিশ্ব-মানবতা অবারিত খেদমত পেতে পারে।
বিবেকবান দেশবাসীর সাথে আওয়ামীলীগের অসংখ্য নেতা-কর্মীও বিশ্বাস করেন, এ বিচার যথাযথ হচ্ছে না।অথচ সকল দায়ভার তাদের কাধে বর্তাচ্ছে।প্রয়োজনে পুলিশ সহ আইনশৃংখলা বাহিনীকে নিরপেক্ষ রেখে এ ব্যাপারে গণভোট বা গণ সমাবেশের চেলেন্জ নেয়া যেতে পারে।এমনকি মরনোত্তর সহ ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্বের সময়কলের সকল নৃশংসতার প্রকৃত বিচারের জন্য জাতীয় কমিশন গঠন করে নিরপেক্ষ -যথোপযুক্ত- বিচারিক উদ্যোগ নেয়া যায়।এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ লর্ড কার্লাইলের প্রস্তাবনাটি(লিংক-৩) বিবেচনা যোগ্য।এতে করে অতীব স্পর্শকাতর এ ইস্যুটির স্থায়ী সমাধান হতে পারে আর চক্রান্তকারীদের খপ্পর থেকে রক্ষাপাবে প্রিয় বাংলাদেশ-একই সাথে আওয়ামীলীগ ও তাদের দলীয় কর্মীরাও।
রাস্ট্রপতি আব্দুল হামিদ একজন প্রাজ্ঞ রাজনীতিবীদ। আজীবন আওয়ামীলীগার।তাঁর চাওয়া-পাওয়া অথবা হারানোর কিছু নেই।প্রিয় জন্মভুমি বাংলাদেশ আর প্রাচীনতম দল আওয়ামীলীগ কি তাঁর কাছ থেকে কিছইু আশা করতে পারে না ? হিউমেন রাইট ওয়াচ,জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন সহ প্রায় সকল আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা ও ব্যাক্তিত্বদের আবেদন বিবেচনায় নিয়ে তিনি নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেন। হীন-সংকীর্ণ -দলদাস এর বাইরে এসে শুধুমাত্র দেশের ১৮ কোটি মানুষের শান্তী-স্ব¯িত বিবেচনায় নিয়ে মহামান্য রাস্ট্রপতি কি শেষ মূহুর্তে ইতিহাসের মহানায়কের পথে হাটতে পারবেন? সময় একেবারেই কম — মাত্র কয়েক ঘন্টা মাত্র।
sirajulislamshaheen@yahoo.com ০৯/০৪/২০১৫;রাত ০২.২০
লিংক-১ http://www.mzamin.com/details.php…
লিংক-২1. https://www.facebook.com/sirajul.shahin/posts/969994603051909
2.http://www.todaybd.net/newsdetail/detail/49/122728…
লিংক-৩ https://www.facebook.com/sirajul.shahin/posts/969984389719597
London Bangla A Force for the community…
