ব্রেকিং নিউজ
Home / প্রচ্ছদ / নেতানিয়াহুর নিরঙ্কুশ বিজয়, উদ্বিগ্ন ফিলিস্তিন

নেতানিয়াহুর নিরঙ্কুশ বিজয়, উদ্বিগ্ন ফিলিস্তিন

অবশেষে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছেন বেনইয়ামেন নেতানিয়াহু এবং এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রীর আসনে। ৯৯ শতাংশ ব্যালট গণনার তথ্য আসার পর ইসরায়েলি মিডিয়া এ সংবাদ প্রচার করে।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ইয়েদিয়ত আহরনত জানায়, নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টি পার্লামেন্ট ২৯টি আসন দখলে সমর্থ হয়েছে। তার প্রতিদ্বন্দ্বী জায়োনিস্ট ইউনিয়ন অ্যালায়েন্স আসন পেয়েছে ২৪টি।
নেতানয়িাহু মঙ্গলবারই তার বিজয়ের পূর্বঘোষণা করেছেন। বিজয় নিশ্চিত হওয়ার পর তিনি বলেন, সকল কাঁটা ধন্য করে অবশেষে আমরা লিকুদ পার্টির বিজয় নিশ্চিত করেছি। লিকুদ পার্টির নেতৃত্বে সংঘটিত সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচনে এ নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জিত হয়েছে। এ বিজয় ইসরায়েলের মানুষের। এবার আরও একবারের মতো একটি শক্তিশালী ও স্থিতিশীল সরকারব্যবস্থা গঠিত হবে।
কেন বেনইয়ামেন নেতানিয়াহু জয়লাভ করলেন, তার কারণ খুঁজতে গিয়ে বিশ্লেষকরা মত প্রকাশ করেছেন: মূলত নেতানিয়াহুর নিরাপত্তাসংক্রান্ত প্রচারণাগুলো তাকে এগিয়ে দিয়েছে। নেতানিয়াহু বলছিলেন, ইসরায়েলের সর্বোচ্চ নিরাপত্তাবিধান তার ক্ষমতাসীনতার প্রধান এবং অবশ্য পালনীয় প্রতিশ্রুতি।
ইসরায়েল তার অবস্থানগত কারণে নিরাপত্তাসঙ্কটে সবচেয়ে বেশি ভুগে থাকে। একদিকে ফিলিস্তিনের মানুষ তাদের বংশভিটা থেকে উৎখাতকৃত হওয়ার পর পুনরায় প্রত্যাবর্তনাকাঙ্ক্ষী, অপরদিকে ইসরায়েলের পুরনো শত্রু ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রীকরণ সফল হলে ইসরায়েল চূড়ান্ত নিরাপত্তাহীন। শত্রুরাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে আলোচনাবিমুখ নেতানিয়াহু দূর থেকে বর্ম পরতেই বেশি স্বচ্ছন্দ এবং ইসরায়েলের আমমানুষ তাতেই আস্থা খুঁজে পেয়েছে।
নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরানকে তিনি পারমাণবিক শক্তিধর হয়ে হুমকিদাতা হতে দেবেন না। কখনও দেবেন না পূর্ব জেরুজালেমে ফিলিস্তিনকে রাজধানী স্থাপন করতে দিতে; আদপে দেশটিকে রাষ্ট্র হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত হতে দিতে।
ফিলিস্তিনের প্রতিক্রিয়া: নেতানিয়াহুর বিজয়ে তাৎক্ষণিক যে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে ফিলিস্তিন, তাতে হতাশা ও পরবর্তী তৎপরতায় বেগ বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি প্রকাশ পেয়েছে।
ফিলিস্তিনের অন্যতম কূটনীতিক সায়েব ইরাকাত বার্তাসংস্থা এ এফপিকে জানান, ‘এটা পরিষ্কার যে নেতানিয়াহুই পরবর্তী সরকার গঠন করতে যাচ্ছেন। সুতরাং হাগ-এর আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে আমাদের যেতেই হচ্ছে। একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিতে, এবং আমাদের ওপর সংঘটিদ যুদ্ধাপরাধের সুষ্ঠু বিচারের জন্যে চাপ সৃষ্টি করতে তৎপরতা আরও বাড়াতে হবে আমাদের।’