একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের মামলা পরিচালনাকারী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলামকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাত সোয়া আটটার দিকে পল্টনের নিজস্ব চেম্বার থেকে তাকেসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করে পল্টন থানা। পরে রাত পৌনে ১১টার দিকে ছেড়ে দেয়া হয়।
ছাড়া পাওয়ার পর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এটা একটা ভুল বোঝাবুঝি। পুলিশের বিরুদ্ধে আমাদের কোনো অভিযোগ নেই।’
তিনি বলেন, ‘সন্ধ্যার সময় কাকরাইল মোড়ে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছিল। তখন লোকজন দৌড়াদৌড়ি করছিল। পুলিশ নাশকতাকারীদের ধরতে রোকেয়া ভবনে অবস্থিত আমাদের অফিসেও প্রবেশ করে।’
তাজুল জানান, ‘এ সময় অন্যান্য আইনজীবীদের অফিসগুলো বন্ধ ছিল। আমাদের অফিস থেকে আমাকেসহ মোট সাতজনকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে।’
তিনি বলেন, ‘এরপর অ্যাডভোকেট শিশির মোহাম্মদ মনির থানায় এসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নির্দেশনা দেখালে এবং আইনজীবী পরিচয় পাওয়ার পর তারা আমাদের ছেড়ে দেয়।’
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে নয়াপল্টনে নিজস্ব চেম্বার থেকে তাজুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়।
তাজুল ইসলামের পরিবার ও আসামিপক্ষের একাধিক আইনজীবীরা খবরের সত্যতা নিশ্চিত করলেও পুলিশ অস্বীকার করে।
তবে মতিঝিল জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার সাইফুর রহমান খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর নয়াপল্টন এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এরপর পুলিশ কয়েকজনকে আটক করে। এর মধ্যে অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি রয়েছেন।’
এ সময় অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বাসায় যাচ্ছিলেন বলেও জানান তিনি।
এদিকে, রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আইনজীবী তাজুল ইসলামকে আটকের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান তার মুক্তি দাবি করেন।