জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, দেশের মানুষ আজ স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছে না। শিক্ষার্থীরা স্বাধীনভাবে স্কুল-কলেজে যেতে পারছে না। এ অবস্থা চলতে দেয়া যায় না।
বুধবার বিকেলে কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে জাতীয় যুব সংহতির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
আ’লীগ ও বিএনপির সমালোচনা করে এরশাদ বলেন, ক্ষমতাসীনরা বলছে তারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে অনঢ়। মনে হচ্ছে তারা আল্লাহকেও মানে না। বিএনপি হরতাল-অবরোধের নামে পেট্রোলবোমা মারছে। পেট্রাল বোমা দিয়ে গণতন্ত্র কায়েম করা যায় না।
তিনি বলেন, নিয়তির কি নিষ্ঠুর পরিহাস আমরা জাতির কাছে ভোট ভিক্ষা করি, আর জাতি আমাদের কাছে প্রাণ ভিক্ষা চাচ্ছে। তাদের কান্না আমাদের স্পর্শ করে না। আমাদের একটাই লক্ষ্য কি করে ক্ষমতায় যাওয়া যায়।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত বলেন, রাজনীতিকরা আজ সমাজের ঘৃণ্যবস্তু। আমরা দেখেছি বঙ্গবন্ধুকে, সোহরাওয়ার্দীকে দেখেছি। তাদের স্মারণ করি আমরা। কিন্তু আমাদের কেউ স্মরণ করবে না। উল্টা ঘৃণা করবে।
জাপার চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা ঘরে বসে থাকার রাজনীতি করছি। কী দেশে বাস করছি রাতের আঁধারে পার্টি অফিসে যেতে পারি না। আজ আমার ছেলেকে স্কুলে পাঠাতে পারছি না। কী স্বাধীন দেশ এটা?’
এরশাদ বলেন, ‘আজ অসুস্থ রাজনীতি চলছে। আমরা কোনো অসুস্থ রাজনীতি চাই না। এর অবসান চাই।
জাতীয় যুব সংহতি মহানগর (দক্ষিণ) সভাপতি হারিছ আবুল বাসারের সভাপতিত্বে জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, প্রেসিডিয়াম সদস্য পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব যুব সংহতির সভাপতি অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভুইয়া, সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন ও মহিলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক মৌসুমী হোসাইন অনন্যা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
চাচা ডোলের দুই দিকে না পিটে যে কোনো একদিকে পিটেন।
চাচা ডোলের দুই দিকে না পিটে যে কোনো একদিকে পিটেন।