সব দলের অংশগ্রহণে যথাশীঘ্র একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের অবরোধের সঙ্গে সপ্তাহব্যাপী হরতালের পর অসহযোগ আন্দোলনের চিন্তাভাবনা করছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোট। সারা দেশে একযোগে এ কর্মসূচি পালন করা হবে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে সরকার নতুন নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টির উদ্যোগ না নিলে চূড়ান্ত কর্মসূচি হিসেবে অসহযোগ আন্দোলনেই চলে যাবে বিএনপি জোট। এর মধ্যেই রাজধানীসহ সারা দেশে গণজমায়েতের পরিকল্পনা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে চলমান অবরোধের সঙ্গে রবিবার থেকে শুরু হওয়া ৭২ ঘণ্টার হরতাল কর্মসূচি আরও ৩৬ ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে। তবে শুক্রবার অবরোধ চললেও হরতাল না রাখার নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর আত্দার মাগফিরাত কামনায় আজকের মিলাদ ও বিশেষ দোয়া মাহফিল কর্মসূচি শুক্রবার নির্ধারণ করা হয়েছে। এদিনকে বাইরে রেখে ফের শনিবার থেকে হরতাল কর্মসূচি দেওয়ার কথা ভাবছেন বিএনপি জোটের নীতিনির্ধাকরা। জানা গেছে, অসহযোগের সঙ্গে গণজমায়েতের বিষয়ে পুলিশ বা অন্য কোনো প্রশাসনের অনুমতি চাইবে না ২০ দল। যেখানে বাধা সেখানেই প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে- এমন বার্তাই নেতা-কর্মীদের কাছে পাঠানো হচ্ছে। মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে ফোনালাপে সব ধরনের কর্মসূচি পালনের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলেছেন খালেদা জিয়া। জানা গেছে, এক দফার অসহযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করা হলে তা বাস্তবায়নে আরও কঠোর নীতি অবলম্বন করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। রাজধানী ঢাকাকে সারা দেশ থেকে জল, স্থল ও রেল পথে যোগাযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে ফেলারও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এর আগে খালেদা জিয়া গ্রেফতার হলে আন্দোলনে আরও গতি বাড়ানো হবে। আন্দোলন কর্মসূচিতে আরও পরিবর্তনও আসবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলতেই থাকবে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত টানা হরতাল : বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ গতকাল এক বিবৃতিতে আরও ৩৬ ঘণ্টার হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, নেতা-কর্মীদের খুন-গুম, সংবাদমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ, বিচারব্যবস্থার ওপর হস্তক্ষেপ, বেগম খালেদা জিয়া এবং দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবসহ সব নেতা ও বিশিষ্ট নাগরিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করার প্রতিবাদে সারা দেশে অবরোধ কর্মসূচির পাশাপাশি চলমান ৭২ ঘণ্টার ‘শা?ন্তিপূর্ণ’ হরতাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বাড়ানো হলো।
গুলশানে প্রজন্ম লীগের বিক্ষোভ : এসএসসি পরীক্ষার ভিতর চলমান অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহারের দাবিতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয় ঘেরাওয়ের চেষ্টা করেছে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ‘প্রজন্ম লীগ’। সংগঠনের নেতা-কর্মীরা গতকাল বেলা পৌনে ১২টায় গুলশান ২ নম্বর গোলচত্বরে যাওয়ার পর পুলিশের বাধায় সেখানে অবস্থান নেন। পরে সেখানে পুলিশি বেষ্টনীতে তারা বিক্ষোভ করেন। এতে নেতৃত্ব দেন মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সভাপতি ফাতেমা জলিল সাথী ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম চৌধুরী স্বপন। এদিকে ২০-দলীয় জোটের নেতা বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) ইবরাহিম বীরপ্রতীক বেগম জিয়ার সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করতে গতকাল সন্ধ্যায় গুলশান কার্যালয়ে প্রবেশ করতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়।
কোকোর মৃত্যুতে দোয়া মাহফিল শুক্রবার : বিএনপি চেয়ারপারসনের ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুতে আগামী শুক্রবার বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। বাদ জুমা সারা দেশে এ কর্মসূচি পালিত হবে। রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে এ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। দোয়া মাহফিল কর্মসূচির কথা জানিয়েছে চেয়ারপারসনের প্রেস উইং।
Deshe r santi asbena
Deshe r santi asbena
Prothome hortame tarpor cheler milad ba khaleda ba prithibir srestho ma u.
Prothome hortame tarpor cheler milad ba khaleda ba prithibir srestho ma u.
nuralam
nuralam