জাতীয় পার্টি আবারও ভাঙনের মুখে পড়তে যাচ্ছে। এবার ভাগ হবে আরো ৪-৫টি। এরমধ্যে কোন ভাগ কোন দিকে যাবে সেটা বিবেচনা করেই তারা সিদ্ধান্ত নিবে। এই পর্যায়ে ভাগগুলো হতে পারে এরমধ্যে এরশাদের দখলে থাকবে একটি অংশ। রওশন এরশাদের দখলে থাকবে একটি অংশ। এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশার অধিনে একটি অংশ, জিয়াউদ্দিন বাবলুর দিকেও থাকতে পারে একটি অংশ। এছাড়াও আরও একটি ভাগ হতে পারে। আর এই সব ভাগ করার বিষয়গুলো নিয়ে যে যার মতো করে কাজ করছেন। সংকট যত বাড়ছে তাদের সক্রিয়তাও বাড়ছে। এরমধ্যে একটি অংশ সরকারের সঙ্গে থাকবে। আবার কোন কোন অংশ বিএনপির সঙ্গেও সমঝোতা করবে। এছাড়াও আরো একটি অংশ যোগ দিতে পারে ড. কামাল হোসেন এর দিকে। তবে যারাই যেই দিকে যাবেন সেটা নানা হিসাব নিকাশ করে ও লাভ বিবেচনা করেই যাবেন। সেই হিসাবে এখন পথ চলছে।
এদিকে এই একটি অংশের দখল নিজে রাখতে চান এমন একটি সূত্র জানায়, আমি যতখানি জানি জাতীয় পার্টি পাঁচ ভাগে ভাগে হবে। এরশাদের দিকে পাল্লা ভারী থাকলে শেষ পর্যন্ত একটি ভাগ আমি নিলেও সেটা পরে এরশাদের সঙ্গে গিয়ে মিল হবে।
এরশাদ সরকারের সঙ্গেই থাকছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এরশাদ এখন ভীষণ ভয়ে আছেন। তিনি ঠিক বুঝতে পারছেন না কি করবেন। দেশের এই অবস্থায় তিনি অনেকটা অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন। আমাকে বলেছেন তার উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার কথা। এটাও বলেছেন এই ভাবে কেমন করে চলবে। আগামী দিনে কি হবে সেটা বোঝা যাচ্ছে না।
এরশাদ কি রওশনকে নিজের দিকে রাখবেন না কি করবেন এই ব্যাপারে ওই সূত্র জানায়, রওশন এরশাদকে নিরাপদে রাখার জন্যই রওওশনকে তিনি কাছে রাখতে চান। কারণ রওশন এখন যথেষ্ট ঝুঁকির মুখে রয়েছেন। তিনি ২০১৩ সালের পুরো সমঝোতার প্রক্রিয়ার সঙ্গে ছিলেন। এখন তিনি সরকার থেকে বাইরে বের হয়ে গেলে তার সমস্যা হবে। তিনি রওশনকে নিয়ে আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন। বলেছেন, আমি যদি রওশনকে ছেড়ে দেই তাহলে ওর বড় বিপদ হয়ে যাবে। সে সেটা কাটাতেও পারবে না।
রওশন সরকাররের দিকেই থাকছেন বলে তিনি জানান। বলেন, একটি অংশ বিএনপির সঙ্গে যাবে। তবে সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। অবস্থার আরো উন্নতি হওয়ার পর। আর এই জন্য আরো কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে।
এরশাদের দলে আগেও ভাঙ্গন হয়েছে তিনি রোধ করতে পারেন এখনও কি পারেন না এই ব্যাপারে তিনি বলেন, সেটা তিনি পারছেন না।
তিনিতো সরকারের বিরুদ্ধে বলেই যাচ্ছেন এটা কেন, ওই সূত্র জানান, সেটা ইচ্ছে করেই বলছেন। আর সেটা বলেই তিনি প্রমাণ করতে চাইছেন সরকারের পক্ষে কাজ করছেন না। তারা আসলেই বিরোধি দলের রয়েছেন। তারা বিরোধি দলে রয়েছে। গৃহপালিত বিরোধি দলের কলঙ্ক ঘোছানোও তার লক্ষ্য। এখানেও সমঝোতা রয়েছে।