উগ্রপন্থী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) একটি ভিডিওচিত্র প্রকাশ করেছে, যাতে তাদের হাতে বন্দী জাপানি সাংবাদিক কেনজি গোটোর ‘শিরশ্ছেদের’ কথা বলা হয়েছে।
হারুনা ইউকায়া নামের আরেক জাপানির শিরশ্ছেদের খবর প্রকাশের এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে অনলাইনে এই ভিডিও ছাড়া হয়েছে।
ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা গোটো (৪৭) গত অক্টোবরে সিরিয়ায় গিয়েছিলন। ইউকায়াকে ছাড়িয়ে আনার লক্ষ্যে তিনি সেখানে যান বলে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়।
জাপানের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য এ হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে।
ইরাক ও সিরিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেওয়া আইএসের ওই ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, কমলা রঙের গাউন পরা মুখোশধারী এক ব্যক্তি গোতোর ঘাড়ে একটি ছোরা ধরে দাঁড়িয়ে আছে।
এরপর একটি মৃতদেহের পিছনে একটি মাথা পড়ে থাকতে দেখা যায়।
এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বলেছেন, “এই সন্ত্রাসীদের আমি কখনোই ভুলবো না।
“এই অপরাধের জন্য দায়ীদের বিচারের আওতায় আনতে জাপান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করবে। জাপান কখনো সন্ত্রাসবাদের কাছে মাথা নত করবে না।”
গোতো ও ইউকায়াকে (৪২) জিম্মি করার কথা জানিয়ে দুই সপ্তাহ আগে তাদের হত্যার হুমকি দেয় আইএস। জাপানের প্রধানমন্ত্রীর তাদের বিরুদ্ধে লড়াইরত দেশগুলোকে ২০ কোটি ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতির বদলা হিসেবে দুই জিম্মিকে হত্যার ঘোষণা দেয় জঙ্গি গোষ্ঠীটি।
কেনজি গোতো
তবে গোতোর ‘শিরশ্ছেদের’ ভিডিও প্রকাশের পর মধ্যপ্রাচ্যে খাদ্য, চিকিৎসা ও অন্যান্য সহায়তা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন আবে।
এক জর্ডনিয়ান বৈমানিকের সঙ্গে গোতোকে আটক করা হয় বলে আইএস জানায়।
গত বৃহস্পতিবার আইএস’র পক্ষ থেকে একটি অডিও বার্তা প্রকাশ করা হয়। তাতে গোতোকে বলতে শোনা যায়, ইরাকি নারী জঙ্গি সাজিদা আল-রিশাউইকে সূর্যাস্তের মধ্যে মুক্ত করা না হলে জর্ডানের বিমান চালককে হত্যা করা হবে।
২০০৫ সালে জর্ডানের রাজধানী আম্মানে একটি আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৬০ জন প্রাণ হারায়। ওই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার আল-রিশাউই জর্ডানের কারাগারে বন্দি রয়েছেন।
তবে গোতোর ‘শিরশ্ছেদের’ ভিডিওচিত্রে জর্ডানের ওই বৈমানিকের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।
‘ঘৃণ্য এ হত্যাকাণ্ডের’ নিন্দা জানিয়ে উগ্রপন্থী আইএসকে ধ্বংসে মিত্রদের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
ভিডিওতে আবেকে উদ্দেশ্য করে ব্রিটিশ উচ্চারণে ওই জঙ্গিকে বলতে শোনা যায়, “একটি অপরাজেয় যুদ্ধে জড়িত হওয়ার তোমার হঠকারী সিদ্ধান্তের কারণে এই ছুরি শুধু কেনজিকে বধ করবে না, যেখানেই তোমার লোক পাওয়া যাবে সেখানেই হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাবে।”
London Bangla A Force for the community…

Valo hayasi
Valo hayasi