কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন স্থানে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট তাণ্ডব চালিয়েছে পুলিশ। এছাড়া নাশকতায় জড়িত থাকার অভিযোগে জামায়াত-শিবিরের ৮ কর্মীকেও আটক করে তারা।
শুক্রবার রাত ১২ টার পর থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়।
জানা যায়, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বাতিসা ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের মীর হোসেনের ছেলে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি আমজাদ হোসাইন রুমনের বাড়িতে যায় পুলিশ। তাকে না পেয়ে তার বাবা-মাকে লাঞ্ছিত করে। এ সময় তাদের ঘরে থাকা আসবাবপত্র ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়।
শিবির সেক্রেটারি রুমনের মা নিলুফা ইয়াছমিন জানান, ‘রাত ১টার দিকে কোনো কিছু বুঝে উঠার আগে কিছু মানুষ বাড়ির ঘরের জানালার কাছ ভাঙচুর করতে থাকে, এই সময় তারা নিজেদের পুলিশ বলে পরিচয় দেন। এরপর ঘরের দরজা খুলে দেখি অনেক পুলিশ বাড়ির উঠানে দাঁড়িয়ে আছে এবং আমাকে অকভ্য ভাষায় কথাবার্তা বলছে। পরে কিছু পুলিশ ঘরে প্রবেশ করে ঘরে থাকা টিভি, আলমারি শোকেজ, আমার ছেলের বই-পুস্তকের আলমিরা, বাথরুমের বেসিনসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ব্যাপক ভাঙচুর করতে থাকে, আমি বাধা দিলে আমাকে ও আমার স্বামীকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এতে আমার ৫ লক্ষধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।’
এছাড়াও উপজেলার একই ইউনিয়নের কালিকসার গ্রামের জামায়াত সমর্থক হোসেন বাড়িতে তা-ব চালানোর অভিযোগ পাওয়া যায়।
অভিযোগকারী বলেন, আমার ঘরে থাকা সমস্ত আসবাবপত্র ভাঙচুর ও ঘরে থাকা ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার লুট করে।
একই ইউনিয়নের পরিষদ মেম্বার মোতাহের হোসেন ও আব্দুল করিম বাদলের বাড়িতেও ব্যপক ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মোতাহের মেম্বার জানান যৌথ বাহিনী আমাকে খুঁজতে এসে না পেয়ে অমার বাড়ি-ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।
এছাড়াও উপজেলার পৌরসভা শিবির কর্মী মাহমুদুল হাসানের বাড়ি ঘর ভাঙচুর করে বলে সে অভিযোগ করে। সে জানায় আমাকে খুঁজতে এসে না পেয়ে আমার চাচা ও তার ছেলেকে পুলিশ নিয়ে যায়।
এছাড়া বাতিসা ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামে শিবির নেতা নাজমুল ও বেলায়েতের বাড়িতেও হামলার আভিযোগ পাওয়া গেছে।
চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি উত্তম কুমার জানান, ভাঙচুরের কোন অভিযোগ আমার কাছে আসেনি, আমার জানা নেই। পুলিশ কোন তাণ্ডব চালায়নি।
এ ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আমির শাহাব উদ্দিন তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এর তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।