ইব্রাহিম খলিল : বৃটেনের লিংকনশায়ারএলাকায় মাওলানা জুবায়ের হামিদী হত্যার দায়ে সন্দেহভাজন আসামী নিজ ভাই মাওলানা জুনায়েদ হামিদী লন্ডনের একটি জেলে মৃত্যুবরন করেছেন। গত ২৫ জানুয়ারী রোববার রাতে তার মৃত্যু হয়েছে বলে একটি বিশ্বস্ত সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে এটি স্বাভাবিক মৃত্যু না আত্মহত্যা, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
জুনায়েদ হামিদির একজন ঘনিস্ট আত্মীয় নিশ্চিত করেছেন যে, বৃহস্পতিবার তার ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। তবে ময়না তদন্তে কিভাবে মৃত্যু হয়েছে তা এখনো প্রকাশ করেনি কারাগার কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার তার লাশ দাফনের জন্য স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হতে পারে বলে জানান তিনি। তবে জুনায়েদ হামিদীর বড়ো ভাই ইমিগ্রেশন এডভাইজার ও টিভি প্রেজেন্টার মাওলানা সালেহ হামিদী চ্যারিটির কাজে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। তিনি বৃটেনে ফিরলে তার দাফন সম্পন্ন হতে পারে।
গত বছর ২০১৪ সালের ২১ শে অক্টোবর লিংকনশায়ারের সমুদ্র তীরবর্তী শহর গ্রীমসবিতে নিজ ফ্লাটে নৃশংসভাবে হত্যার শিকার হন জুবায়ের হামিদি। পুলিশ ঐদিন রাতেই সন্দেহজনকভাবে জুবায়ের হামিদীর আপন ছোটভাই জুনায়েদ হামিদীকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয়। ২৭ অক্টোবর হাল হাম্বার ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে পুলিশ জুনায়েদ হামিদীকে হাজির করে। হাল হাম্বার সাইড পুলিশ আসামীর বক্তব্যে ও বিভিন্ন আলামতের ভিত্তিতে জুনায়েদ হামিদীকে নৃশংস এই হত্যাকান্ডের জন্য অভিযুক্ত করে চার্জ গঠন করে। চলতি বছরের গত ২২ জানুয়ারী মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারন ছিলো। কিন্তুু পূর্নাঙ্গ রায়ের আগেই আপন ভাই হত্যার অভিযোগ মাথায় নিয়ে মৃত্যুবরন করলেন জুনায়েদ হামিদী।
London Bangla A Force for the community…

It’s a good read.