বিএনপি নেত্রীর মাথা খারাপ হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যোনে আয়োজিত সমাবেশে তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া সন্ত্রাসের নেত্রী, সন্ত্রাসের নেত্রী। তার দল বিএনপি দেশের সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করেনা বলেই যাচ্ছেতাই মিথ্যাচার করতে পারে।’
তিনি আরো বলেন, ‘বিএনপি দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেনা। ২০০৯ সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ না করার মূল কারণ হলো জামায়াতে ইসলামী নির্বাচন কমিশন থেকে নিবন্ধন না পাওয়া। বেগম খালেদা জিয়া জানতেন, জামায়াত ছাড়া তার নির্বাচনে জয়লাভ করা অসম্ভব।’
খালেদা জিয়ার উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘হরতাল অবরোধ করে লাভ হবে না। বাংলার মানুষকে রক্ষ করার জন্য যা করা দরকার করা হবে।’
এর আগে, সোমবার দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সমাবেশ শুরু হয়।
সভা পরিচালনা করছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এবং উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অসীম কুমার উকিল। সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। মঞ্চে রয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
এ ছাড়া মঞ্চের সামনে উপস্থিত আছেন যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকরা।
দুপুর ১টার পর থেকেই ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী, ভাতৃপ্রতিম, অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা দলে দলে ব্যানার-ফেস্টুন, বাদ্যবাজনা, মিছিলসহ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভাস্থলে হাজির হচ্ছেন।
বিপুল পরিমাণ লোকসমাগম এবং গাড়িবহরের কারণে হাইকোর্ট মোড় হয়ে দোয়েল চত্বর, শাহবাগ হয়ে টিএসসি পর্যন্ত লোকে -লোকারণ্য হয়ে উঠছে। দলীয় নেতা-কমীরা উদ্যানের তিনটি গেট দিয়ে জনসভাস্থলে প্রবেশ করছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার স্বার্থে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর অবস্থানে রয়েছে। প্রবেশ গেটগুলো তল্লাশির করা হচ্ছে। কড়া নজরদারির মধ্যে সভাবেশস্থলে ঢুকছেন লোকজন। মঞ্চের সামনে নেতা-কর্মীদের বসানোর জন্য হাজার হাজার চেয়ার পাতা রয়েছে। রমনা কালী মন্দিরমুখী মঞ্চে শীর্ষ নেতারা উপস্থিত রয়েছেন।
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস দিবস উপলক্ষে এই জনসভার আয়োজন করে আওয়ামী লীগ। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশের স্বাধীনতা অর্জনের পর পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করে লন্ডন-দিল্লি হয়ে দেশে ফেরেন জাতির পিতা। সেদিন সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দর থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পর্যন্ত লাখো জনতা হাজির হয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, বিশ্ব ইজতেমার কারণে সমাবেশ ১০ জানুয়ারির পরিবর্তে দুই দিন পিছিয়ে ১২ জানুয়ারি করা হয়।