২২ জেলায় মোট ৫৯ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ ছাড়াও পাঁচ জেলায় চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় বিজিবির সদস্য মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আজ সোমবার এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক শাখার উপসচিব হাবীবুর রহমান এ-সংক্রান্ত চিঠিতে সই করেছেন। চিঠিতে বলা হয়, দেশের বিরাজমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ও জনগণের জানমাল নিরাপত্তায় বিভিন্ন জেলায় এ ফোর্স মোতায়েনের সিদ্ধান্তের কথা বলা হয়।
বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সহিংস পরিস্থিতি মোকাবিলায় গত কয়েক দিনে সরকারের কাছে নিরাপত্তা জোরদার করতে অনুরোধ জানান ডিসিরা। তাঁরা পরিস্থিতি সামাল দিতে বিজিবি চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠিও পাঠান।
জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আজ রাতে প্রথম আলোকে বলেন, জেলা প্রশাসকদের চাহিদা অনুযায়ী যেখানে প্রয়োজন হবে, সেখানেই বিজিবি, আনসারসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মাঠ প্রশাসনে যেখানেই নিরাপত্তা চাওয়া হবে, সেখানেই নিরাপত্তা দেওয়া হবে। এ জন্য ‘স্ট্যান্ডিং অর্ডার’ দেওয়া আছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রতিদিনই ডিসিদের এসব চাহিদাপত্র তদারকি করা হবে। সরকার এসব বিষয়ে অত্যন্ত সজাগ রয়েছে। যেখানেই নিরাপত্তা প্রয়োজন, দেওয়া হবে। এসব নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
এদিকে আজ সকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ডিসিদের চাহিদাপত্রের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। সে সময় মন্ত্রিসভার বৈঠক চলছিল। তাৎক্ষণিক বিষয়টি মৌখিকভাবে জানানো হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে। পরে লিখিতভাবে জানানো হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, রেলের নিরাপত্তার জন্য প্রতি ৪৫ দিনে আট হাজার ৩২৮ আনসার মোতায়েনের ব্যয় হিসেবে ১৩ কোটি টাকা বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এদিকে আজ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর থেকে সাতটি জাদুঘরের জন্য মোট ১২০ জন আনসার চাওয়া হয়েছে। এগুলো হচ্ছে লালবাগ দুর্গ, মহাস্থানগড় দুর্গ, পাহাড়পুর জাদুঘর, ময়নামতি জাদুঘর, বাগেরহাট জাদুঘর, খুলনা বিভাগীয় জাদুঘর ও রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি জাদুঘর।
এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে বিজিবির টহল নিশ্চিত করার পাশাপাশি জেলায় জেলায় পণ্যবোঝাই ট্রাক এবং যাত্রীবাহী বাসের নিরাপত্তার জন্য বিজিবির গাড়ি বহরের জ্বালানির জন্য ৩৫ লাখ টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।