১০ জানুয়ারি ২০১৫: অবরুদ্ধ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে টেলিফোনে কোনো কথা হয়নি বলে স্যাটেলাইট টেলিভিশন একাত্তর টিভি কে জানিয়েছেন ভারতীয় জনতা পার্টির সভাপতি অমিত শাহ। তবে এ নিয়ে নিজেদের অবস্থানে অনড় রয়েছে বিএনপি।
শনিবার রাত সাতটার পর একাত্তর টিভি এর ব্রেকিং নিউজ হিসেবে স্ক্রলে প্রচার করে। খালেদার সাথে ফোনালাপের বিষয়ে আলাপকালে এ খবরটিকে ফেক নিউজ বলেও আখ্যায়িত করেন অমিত শাহ। অমিত শাহ বলেন, দিস ইজ অ্যা ফেক নিউজ। নো কনটাক্ট ফ্রম আওয়ার সাইড।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেসসচিব মারুফ কামাল খান বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, পিপার স্প্রের কারণে অসুস্থ বেগম জিয়ার খোঁজ-খবর নিতে বুধবার রাতে ফোন করেন বিজেপি সভাপতি।
অমিত শাহ টেলিফোনে সাবেক তিন বারের প্রধানমন্ত্রীর সুস্থতা কামনা করেন বলেও উল্লেখ করেন মারুফ কামাল খান।
৫ জানুয়ারি নিয়ে রাজনৈতিক উত্তাপের মধ্যে গত শনিবার ৩ জানুয়ারি রাত থেকে দলীয় কার্যালয়ে আটকে আছেন বেগম জিয়া।
এদিকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে ভারতের ক্ষমতাসীন দলের নেতার ফোনালাপ মিথ্যাচার বলে মন্তব্য করছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
এ প্রসঙ্গে শনিবার আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, ‘খালেদা জিয়ার সঙ্গে অমিত শাহর ফোনালাপ হয়নি। বরং খালেদার অফিস থেকে অমিত শাহ’র অফিসে ফোনে দু’বার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তার ফোন নষ্ট থাকায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে অমিত শাহর কোনো কথা হয়নি।’
অন্য দিকে বিএনপি মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের নামে ‘মিথ্যা বিবৃতি’ দিয়েছে অভিযোগ করে হানিফ বলেন, ‘বিদেশিদের মন্তব্য নিয়ে বিএনপি মিথ্যাচার করছে।’ এতে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।
বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ শাখার মুখপাত্র যশদীপ ভৌমিক বলেন, অমিত শাহজি কেন ফোন করতে যাবেন? বাংলাদেশের যা ঘটছে তা তো একান্তই তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ঢাকায় বর্তমানে যারা সরকারে রয়েছেন তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক যথেষ্ট বন্ধুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশের বিরোধী নেতাকে যদি কোনো বার্তা দিতে চাইতেন অমিত শাহ্ তাহলে কূটনৈতিক চ্যানেলেই তা দিতে পারতেন। তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এড়িয়ে ফোন করতে যাবেন কেন? বিজেপি এক নেতা(নাম প্রকাশে অনিহা) উল্ট প্রশ্ন রাখেন।