রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। পকেট গেটেও তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়।
ওই কার্যালয়ের সামনের সড়কে আড়াআড়িভাবে ১৪টি ট্রাক ও ভ্যান রাখা হয়েছে। এতে ওই কার্যালয়ে প্রবেশ বা বের হওয়ার পথ বন্ধ হয়ে গেছে। কার্যত পুরো কার্যালয়টি অবরুদ্ধ রয়েছে। এ অবস্থার মধ্যেই দুপুর ১২টার দিকে সেখানে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের সতর্ক অবস্থায় দাঁড়াতে বলেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
ঊর্ধ্বতনদের নির্দেশে পুলিশ সদস্যরা তিনটি স্তরে দাঁড়িয়ে যান কার্যালয়ের গেটের সামনে।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে গুলশান কার্যালয় থেকে খালেদা জিয়ার প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, বেলা দুইটার পর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বের হবেন। তাঁকে যেখানে বাধা দেওয়া হবে, সেখানেই সমাবেশ করবেন তিনি।
গতকাল রোববার রাতে গুলশান কার্যালয় থেকে টেলিফোনে এক সাক্ষাৎকারে খালেদা জিয়া বিবিসি বাংলাকে বলেছিলেন, সরকারি বাধা সত্ত্বেও আজকের (সোমবার) কর্মসূচি তিনি প্রত্যাহার করছেন না। ঢাকায় নির্ধারিত সমাবেশের চেষ্টা করা হবে।
গুলশানের ৮৬ নম্বর রোডের ৬ নম্বর বাড়িটি খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়। এর উত্তর ও দক্ষিণ পাশে লম্বালম্বি সড়কটি আধা কিলোমিটারের মতো। এটিই ওই কার্যালয়ে আসা-যাওয়া করার একমাত্র পথ। এই সড়কটিতে ১১টি ছোট-বড় ট্রাক ও তিনটি পুলিশ ভ্যান আড়াআড়ি করে রাখা হয়েছে।
এর মধ্যে ৯০ নম্বর থেকে ৮৬ নম্বর রোডে ঢোকার মুখে পূর্ব ও পশ্চিম পাশে চারটি খালি ট্রাক আড়াআড়ি রাখা আছে। ৮৬ নম্বর রোডে প্রবেশের মুখে পুলিশের জলকামান গাড়ি আড়াআড়ি রাখা। আরেকটু সামনে এগোলে গুলশান মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, এর সামনে একটি পুলিশ ভ্যান আড়াআড়ি করে রাখা। এর এক বাড়ি পরই খালেদা জিয়ার কার্যালয়।
গতকাল রোববার রাত ১২টার দিক থেকে ট্রাক ও ভ্যানগুলো নিয়ে আসা শুরু হয়। সড়কটিতে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সাধারণ মানুষের চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
গুলশানে নিজের রাজনৈতিক কার্যালয়ে গত শনিবার থেকে কার্যত অবরুদ্ধ খালেদা জিয়া। আজও তিনি সেখানে অবস্থান করছেন। তাঁর কার্যালয় ও এর আশপাশে রয়েছে বিপুলসংখ্যক পুলিশ।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি সূত্র জানায়, তাদের কাছে তথ্য ছিল, খালেদা জিয়া ৫ জানুয়ারির সমাবেশ সামনে রেখে আগে থেকে নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অবস্থান নিতে পারেন। এ কারণে তাঁকে গুলশানে রাজনৈতিক কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। আপাতত তাঁকে তাঁর কার্যালয় এবং বাসার বাইরে কোথাও যেতে দেওয়ার সম্ভাবনা কম বলে ওই সূত্র জানিয়েছে।