ঘোষণা অনুযায়ী রাজধানীর ঢাকার রাজপথে লুঙ্গি পড়ে ঘোরাঘুরি করছেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।
সোমবার সকাল থেকে তিনি নগরীর বিভিন্ন মোড়ে অবস্থানরত নেতাকর্মীদের কাছে যান। বিরোধীদের আন্দোলন প্রতিহতে তাদের প্রেরণা দেন।
এ সময় তিনি লুঙ্গি পরা অবস্থায় ছিলেন। অবশ্য মায়া বেশ আগেই ঘোষণা করেছিলেন ৫ জানুয়ারি বিএনপিকে প্রতিহতে লুঙ্গি পরে মাঠে নামবেন তিনি।
পরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মায়া অভিযোগ করেন, আমরা নই, সাংবাদিকরাই সবার আগে ডিএমপির নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করেছে।
তিনি বলেন, ‘আপনারা ১৭টি চ্যানেলের লোক এক সঙ্গে এসেছেন। কেন আসলেন? একজন একজন করে আসতে পারতেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘আজকে ডিএমপির এই নিষেধাজ্ঞা যথার্থ হয়েছে। গতকাল রবিবার বিএনপি-জামায়াত যেভাবে গাড়িতে আগুন দিয়েছে, মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করার চেষ্টা করেছে, তাতে নিষেধাজ্ঞা জারি না করলে আরো বেশি বিশৃঙ্খলা হতো।’
‘১৪৪ ধারার অর্থ- কোনো দলই জমায়েত করতে পারবে না’ এ বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে মায়া বলেন, ‘কেউই জমায়েত হয়নি, হচ্ছে না। আপনারা কোথায় জমায়েত দেখলেন?’
এ সময় সাংবাদিকরা প্রজন্ম লীগের অবস্থান দেখালে তিনি বলেন, ‘এরা শান্তিপূর্ণভাবে রাস্তার পাশে চেয়ার নিয়ে অবস্থান করছে। এরা যদি না বসতে পারে, তবে আপনারা যে ১০ জন এসেছেন। এক সঙ্গে আসলেন কেন? একজন একজন করে আসতে পারতেন। আপনারা ১৭টা মিডিয়া একসঙ্গে এসে সবার আগে ১৪৪ ধারা ভেঙেছেন।’
এক পশ্নের জবাবে মহানগর আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘অবশ্যই শান্তিপূর্ণ অবস্থানে যে কোনো দলের লোক থাকতে পারবে। সবাই থাকবে। মানা করেছে কে? তবে বলা হয়েছে কেউ সভা-সমাবেশ করতে পারবেন না। এই যে সবাই হাঁটতেছে, কেউ মানা করছে? এই যে আমি ঘুরতেছি, কেউ তো মানা করছে না।’
তিনি বলেন, রাস্তায় রাজনৈতিক দলের অবস্থান তাদের সাংবিধানিক অধিকার। তবে কোনো রকম বিশৃঙ্খলা, বাসে আগুন দেয়া, এগুলো যেন কেউ করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
মায়া বলেন, প্রথম কথা হলো শান্তি, পরে গণতন্ত্র ও দেশ। আমরা আমাদের নেতাকর্মীসহ দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়েছি কেউ যদি আইন নিজের হাতে তুলে নিতে চাই তবে তাকে ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিবেন। কোনো রকম বিশৃঙ্খলা করবেন না।
শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আছে, প্রজন্ম লীগ কেন? তাদের ওপর কি আপনাদের আস্থা নেই- এমন পশ্নে বীর উত্তম খেতাবপ্রাপ্ত এই মুক্তিযোদ্ধা বলেন, ‘এরা সাধারণ পাবলিক। কেউ প্রজন্ম লীগ, মুক্তিযোদ্ধা লীগ, পঙ্গু মুক্তিযুদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবার পরিজন, সবাই সাধারণ লোক।