‘বেশির ভাগ মানুষই আমাকে দোষারোপ করছেন, বুঝছেন ভুল। অথচ ফাঁসিতে ঝোলালেও রুবেল এখন আর আমাকে বিয়ে করবে না।’ গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে একান্ত আলাপকালে এমনটাই জানালেন হালের আলোচিত ‘আনহ্যাপি’ ঘটনার নায়িকা হ্যাপী।
দিনকাল কেমন কাটছে-
জানতে চাইলে হ্যাপী বলেন, ‘এখন আমি মানসিকভাবে অনেক শক্ত। নিজেকে আরও শক্ত করার চেষ্টা করছি। লক্ষ্য একটাই, ন্যায়বিচার আদায় করা। যারা আমার সমালোচনা করছেন তাদের বলতে চাই, এবার বোঝা যাবে কে সত্য কে মিথ্যা। কারণ আদালত বুধবার রুবেলের ডিএনএ পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছেন।’ গুঞ্জন উঠেছে, বিসিবির কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা হ্যাপী ও রুবেলকে নিয়ে সমঝোতা বৈঠকের চেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে বিষয়টি অস্বীকার করে হ্যাপী বলেন, ‘এগুলো বাতাসে ভেসে বেড়ানো গুঞ্জন। এসবে কান না দেওয়াই ভালো। এরকম কোনো ঘটনা ঘটলে সবাই জানতে পারবেন। তা ছাড়া আমি তো আগেই বলেছি, রুবেল এখন আর আমাকে বিয়ে করবে না।’ বার বার এ কথা বলছেন কেন- জানতে চাইলে হ্যাপী বলেন, প্রত্যেকের বেসিক কিছু কোয়ালিটি রয়েছে যা একজনের ব্যক্তিত্বকে ফুটিয়ে তোলে। এসবের কোনো কিছুই রুবেলের মধ্যে নেই। তা ছাড়া শিক্ষাটাও একটা বড় ব্যাপার। ও যদি বুঝত তাহলে বিষয়টা এত দূর গড়াত না। অল্পতেই অনেক কিছু পেয়েছে, তাই এমনটা করে ফেলেছে। হ্যাপী আরও বলেন, ‘অনেকেই আমার দিকে আঙ্গুল তুলছেন প্রেম করার আগে বিষয়টি ভাবিনি কেন? আসলে আবেগের কাছে কোনো কিছুই আটকায় না, আমার বেলাও তাই হয়েছে। সমাজে এরকম ঘটনা অহরহ ঘটছে। কিন্তু ধনীর দুলালদের কারণে অনেকেই প্রকাশ করতে সাহস পায় না। আমি না হয় একটু ব্যতিক্রম।’
রুবেলের ডিএনএ পরীক্ষা প্রসঙ্গে হ্যাপী বলেন, ‘এবার সত্য উন্মোচন হবে। কারণ ফরেনসিকে রুবেল ও আমার সম্পর্কের পুরো বিষয়টা পরিষ্কার হয়নি। এখন সে আর পার পাবে না। কারণ ডিএনএ পরীক্ষা কখনো ভুল তথ্য দিতে পারে না।’ এ বিষয়ে হ্যাপীর আইনজীবী তুহিন হাওলাদার জানান, ‘মামলার ঘটনাস্থল থেকে জব্দকৃত মালামালের মধ্যে রয়েছে সাদা-কালো বর্ণের একটি পুরনো ব্যবহৃত পাপোশ। একটি আকাশি ও সাদা বর্ণের হাতা ছাড়া বা ম্যাগি হাতার জার্সি এবং একটি লাল বর্ণের ব্যবহৃত নাইটি। তাই আদালতকে বলেছি, হ্যাপীর পরিধেয় কাপড়, আসামি রুবেলের জার্সি এবং ব্যবহৃত পাপোশ পরীক্ষা করে সঠিক তথ্য বের করা গেলেই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হবে। কারণ ডিএনএ হলো বংশগত বা জন্মগত উপাদান। তাই এ উপাদানকে কেমিক্যাল স্টোর হাউস বলা হয়। ডিএনএ পরীক্ষা প্রথম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘সারবাহ বনাম হোম অফিস’ মামলার মাধ্যমে প্রচলন শুরু হয় এবং কার্যকর বলে গণ্য হয়। এ ছাড়া ওই দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ও মনিকা লিউনস্কির যৌন কেলেঙ্কারির বিষয়টিতে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হয়। তাই এ মামলায়ও ডিএনএ পরীক্ষার অনুমতি চেয়েছি। শুনানি শেষে আদালত ডিএনএ পরীক্ষার অনুমতি দেন।’ উল্লেখ্য, ধর্ষণের অভিযোগে ১৩ ডিসেম্বর রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা করেন চিত্রনায়িকা নাজনীন আক্তার হ্যাপী। মামলায় অভিযোগ করা হয়- জাতীয় দলের ক্রিকেটার রুবেল হোসেন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার হ্যাপীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন। এরপর মামলা তুলে নিতে মুঠোফোনে হুমকি দেওয়া হয় বাদী হ্যাপীকে। বলা হয়, দু-এক দিনের মধ্যে মামলা তুলে না নিলে অপহরণ করে গুম করে ফেলা হবে। পরে নিরাপত্তার জন্য মিরপুর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন হ্যাপী।
hapy is tha cal gal…
hapy is tha cal gal…