ঢাকা: গেলো বছর ২৯ ডিসেম্বর বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট তাদের ঘোষিত ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ কর্মসূচি পালন করতে না পারলেও আজ দেশব্যাপী সকাল সন্ধ্যা হরতাল পালন করছে তারা। হরতালের আগের রাতেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার সকাল থেকেই বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
২০ দলীয় জোটের ডাকা হরতালে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন রয়েছে বলে দাবি করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, ‘হরতাল জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালন করছে। সকাল থেকে কোনো দোকান-পাট খুলেনি, কোনো যানবাহন চলাচল করেনি।’
সোমবার সকালে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘ক্ষমতাসীন বাকশালীদের আচরণে জনগণের পিঠ দেয়ালে লেগে গেছে। সরকার যদি ২৭ ডিসেম্বর গাজীপুরে খালেদা জিয়ার সমাবেশে বাধা না দিতো, গণতন্ত্রের স্বাভাবিক পথ রুদ্ধ না করতো্, নেতাকর্মীদের বিনা কারণে গ্রেফতার না করতো তাহলে আজকের হরতাল দেয়া হতো না।’
এ সময় তিনি আরো অভিযোগ করেন, ‘ পুলিশ নেতাকর্মীদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রবেশে বাধা দিচ্ছে।’
বিএনপি কার্যালয়ের আশেপাশে পুলিশের সাঁজোয়া যান, জলকামানও লক্ষ্য করা গেছে। সকাল থেকেই নয়াপল্টন এলাকায় মানুষ ও যান চলাচল তুলনামূলক কম রয়েছে।
জানা গেছে, রোববার থেকেই বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ভেতরে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বেলাল আহমেদ, ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সাত্তার পাটোয়ারীসহ কয়েকজন নেতাকর্মী রাত থেকেই অবস্থান করছেন।