পাকিস্তানের পেশোয়ারে সেনাবাহিনী পরিচালিত স্কুলে তালেবান জঙ্গিদের পৈশাচিকতার অবসান ঘটেছে। আট ঘণ্টার সেনা অভিযানে নিহত হয়েছে হামলাকারী ছয় জঙ্গি। তবে ততক্ষণে প্রাণ গেছে শতাধিক শিক্ষার্থীসহ ১৪০ জনের। আহত হয়েছে আরো শতাধিক শিক্ষার্থী। তাদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
জঙ্গি হামলায় হতাহতের ঘটনায় পাকিস্তানে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ বুধবার পেশোয়ারে সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন। বেলা সাড়ে ১১টায় পেশোয়ারে গভর্নর হাউসে এই বৈঠক বসবে।
হামলার ঘটনার পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ও সেনাপ্রধান রাহিল শরিফ বিকেলের দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ জানান, তারা অবশ্যই দুষ্কৃতিকারীদের ছাড় দেবেন না।
স্কুলে হামলার দায় স্বীকার করেছে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)। সংগঠনটি জানিয়েছে, উত্তর ওয়াজিরিস্তানে তালেবানের ঘাঁটি জার্ব-ই-আজবে চলমান সেনা অভিযানের প্রতিশোধ নিতে এ হামলা চালানো হয়েছে। তালেবানের মুখপাত্র মোহাম্মদ খোরাসানি জানান, ওই স্কুলে তাদের ছয়জন সদস্য হামলা চালায়।
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের খায়বার-পাখতুনখাওয়া অঞ্চলে অবস্থিত সেনাবাহিনী পরিচালিত ওই স্কুলে মঙ্গলবার সকালে হামলা চালায় ছয় জঙ্গি। তারা সেনাপোশাকে সেখানে প্রবেশ করে গুলি চালাতে থাকে।
এর পরপরই সেনাবাহিনী স্কুলটি ঘিরে ফেলে। প্রায় আট ঘণ্টা অভিযান শেষে সন্ধ্যার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
স্কুলটি পাকিস্তানের আর্মি পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ ব্যবস্থার অধীনে পরিচালিত হয়। সেনাসদস্য ও বেসামরিক নাগরিকদের সন্তানরা এখানে পড়াশোনা করে। শিক্ষার্থীদের বয়স ১০ থেকে ১৮ বছর। স্কুলটির শিক্ষকদের বেশির ভাগ সেনাসদস্যদের স্ত্রী। সূত্র: ওযেবসাইট।