ব্রেকিং নিউজ
Home / প্রচ্ছদ / কামরুজ্জামানের রায় কার্যকর নিয়ে অনিশ্চয়তা

কামরুজ্জামানের রায় কার্যকর নিয়ে অনিশ্চয়তা

imageমহান বিজয় দিবস ও শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস উপলক্ষ্যে তিনদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ডা. ইমরান এইচ সরকার নেতৃত্বাধীন গণজাগরণ মঞ্চ।

শুক্রবার ডা. ইমরান এইচ সরকার কর্মসূচিগুলো ঘোষণা করেন।
কর্মসূচিগুলো হচ্ছে: ১৪ ডিসেম্বর সকাল ৭টায় মিরপুরস্থ শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন, বিকাল তিনটায় শাহবাগ প্রজš§ চত্বরে শহীদ পরিবারের সদস্যদের স্মৃতিচারণমূলক অনুষ্ঠান ‘রক্ত আলেখ্য’, ও সন্ধ্যায় শহীদদের স্মরণে শাহবাগ থেকে শহিদ মিনারের উদ্দেশ্যে ‘আলোর মিছিল’, সন্ধ্যার পর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র প্রদর্শনী। ১৫ ডিসেম্বরের কর্মসূচি হচ্ছেÑ বিকাল তিনটায় শাহবাগ প্রজš§ চত্বরে ‘যুদ্ধাপরাধের বিচার, সাম্প্রদায়িক রাজনীতি ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক উম্মুক্ত আলোচনা, একই স্থানে সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলচ্চিত্র প্রদর্শনী। ১৬ ডিসেম্বর বিকাল ৪টা ৩১ মিনিটে প্রজš§ চত্বরে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন। এটি বিশ্বব্যাপী একযোগে পরিবেশিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে জানান ইমরান।
ডা. ইমরান এইচ সরকার বলেন, বিজয় দিবসের কর্মসূচি শেষ হবার পরই আমরা নতুন কর্মসূচী ঘোষণা করব।
যুদ্ধাপরাধী কামরুজ্জামানের রায় কার্যকর নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে উল্লেখ করে ইমরান বলেন, দীর্ঘ অপেক্ষার পর চূড়ান্ত রায়ে সর্বোচ্চ শাস্তি বহাল থাকায় পুরো জাতি যেভাবে আশান্বিত হয়েছিল নতুন সংকট তৈরি হওয়ায় সেভাবেই আশাহত হয়েছে। একইভাবে যুদ্ধাপরাধী সংগঠন জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি নিষিদ্ধ করা নিয়েও সরকার ধুম্রজাল তৈরি করার চেষ্টা করেছেন। ২০১৩ সালের প্রতিশ্রুতির পর দীর্ঘ সময় সরকার জামায়াতের ব্যাপারে দ্বিধাবিভক্ত বক্তব্য দিয়েছেন।
সর্বশেষ জামায়াতের বিচারে আইন সংশোধনের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেও ইতোমধ্যে ৫বার মন্ত্রীসভায় উপস্থাপনের তারিখ পিছিয়েছেন। যা শুধু লজ্জাজনকই নয়, হতাশাজনকও বটে। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে আইন সংসদ ও বিচার বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর বক্তব্য কোনোভাবে মানবতাবিরোধী সংগঠন জামায়াতে ইসলামের বিচারকে প্রভাবিত করতে পারে। আমার প্রশ্ন জামায়াতের বিচার হলে এই সংগঠন নিষিদ্ধ হবে না তা মন্ত্রী জানলেন কী করে?
তিনি আরো বলেন, সার্বিক বিচারে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধসহ যে ৬ দফা দাবীতে গণজাগরণ মঞ্চ আন্দোলন করছে, সেই আন্দোলনের দীর্ঘ পথচলায় সম্ভবত এখনই আমরা সবচেয়ে সংকটকালীন সময় অতিক্রম করছি। নানা ষড়যন্ত্র ও আপোষের রাজনীতির ভিড়ে দায়মুক্তির সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটিই আজ সংকটাপন্ন। তাই অজস্র প্রতিকূলতা সত্ত্বেও গণজাগরন মঞ্চের রাজপথের সংগ্রাম জোরদার করা অবশ্যসম্ভাবী হয়ে দাঁড়িয়েছে।