আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কোনও সংলাপে রাজি নয় কেন্দ্রীয় ১৪ দল। সংবিধান অনুযায়ীই নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছে তারা। সার্ক শীর্ষ সম্মেলন থেকে সম্প্রতি দেশে ফিরে সংবাদ সম্মেলনে রাখা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যকে সাহসী উচ্চারণ বলে অভিহিত করে তার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন ১৪ দলের নেতারা।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ধানমণ্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে অনুষ্ঠিত ১৪ দলের বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান জোটের মুখপাত্র ও আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম।
এছাড়া জোটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস এক সঙ্গে পালন, বিজয় দিবসে আলোচনা সভা ও ১৫ ডিসেম্বর থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত উপজেলা পর্যায়ে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন এই জোট। তবে বিজয় দিবসের আলোচনা সভা ও উপজেলার সমাবেশের স্থান পরে জানানোর কথা বলেছেন নাসিম।
নাসিম বলেন, সম্প্রতি ভারতের বর্ধমানে বোমা বিষ্ফোরণে বাংলাদেশের জঙ্গীদের সংশ্লিষ্ঠতা, ভারতের গোয়েন্দাদের হাতে গ্রেফতারকৃতরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনার যে তথ্য দিয়েছে তাতে গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছেন ১৪ দলের নেতারা। নাসিম দাবি করেন, বিএনপি-জামায়াতের ইন্ধনে জঙ্গীরা বিদেশের মাটিতে বসে শেখ হাসিনাকে হত্যার নীলনকশা করছে। জঙ্গীবাদ ও তাদের ইন্ধন দাতাদের প্রতিহত করতে ১৪ দল ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে লড়াই করবে। রাজনৈতিকভাবেই তাদের মোকাবেলা করা হবে বলে জানান নাসিম।
বৈঠকে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায় প্রদানকারী বিচারক গোলাম রসুলের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জোটের নেতারা। এছাড়া জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী, জাতীয় স্মৃতি সৌধের স্থপতি সৈয়দ মইনুল হক, শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী ও সাংবাদিক জগলুল হায়দার চৌধুরীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করা হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত জোট বর্ধমান বিষ্ফোরণের সঙ্গে জড়িত এমন কোনও প্রমাণ পেয়েছেন কিনা ? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে নাসিম বলেন, গ্রেফতারকৃতরা ভারতীয় গোয়েন্দাদের কাছে স্বীকার করেছে কাদের থেকে তারা ইন্ধন পেয়েছে এবং শেখ হাসিনাকে হত্যার নীলনকশা সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছে। তাদের স্বীকারোক্তিতেই ইন্ধনদাতা হিসেবে বিএনপি-জামায়াতের নাম এসেছে।
দিলীপ বড়–য়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ডা. দীপু মনি, শামসুল হক টুকু, আব্দুল মান্নান খান, আব্দুস সোবাহান গোলাপ, শরীফ নুরুল আম্বিয়া, নুরুর রহমান সেলিম, এনামূল হক, অসিত বরণ রায় , ডা. শহিদুল্লাহ শিকদার, জাকির হোসেন, মজিবুর রহমান মাইজভাণ্ডারী, আব্দুল আজিজ বাঙ্গাল, সাহাদাৎ হোসেনসহ ১৪ দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। আস