৩ নভেম্বর ২০১৪ : জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের আপিলের রায় ঘোষণার সময় আদালত কক্ষে মোবাইল ফোনে কথা বলায় ক্ষোভ প্রকাশ করে দৈনিক নিউএজের সাংবাদিক ও বৃটিশ নাগরিক ডেভিড বার্গম্যানকে বের দিয়েছেন আদালত। আজ সকালে এ ঘটনা ঘটে। কামারুজ্জামানের আপিলের রায় ঘোষণার পর ডেভিড বার্গম্যান এজলাস কক্ষে বসে মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন। বিষয়টি আদালতের দৃষ্টিতে এলে বেঞ্চের সদস্য বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী তাকে দাঁড়াতে বললে বার্গম্যান উঠে দাঁড়ান। বিচারক তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আদালতকক্ষে মোবাইল ফোন নিয়ে ঢোকাই নিষিদ্ধ। আপনি মোবাইল ফোন নিয়ে ঢুকেছেন, আবার কথাও বলছেন। এরপর হাত দিয়ে ইশারা করে তাকে বের হয়ে যেতে বলেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন মামলা নিয়ে একাধিকবার মন্তব্য প্রতিবেদন লেখায় বার্গম্যানকে সতর্ক করে ট্রাইব্যুনাল। গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের জামাতা বার্গম্যান ইংরেজি দৈনিক নিউএজ এর বিশেষ প্রতিনিধি।
‘আমিই বেকুব হলাম’
অভ্যাসবশে নিজের মোবাইল ফোন আদালত কক্ষে বের করে বেকুব হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন দৈনিক নিউএজের বিশেষ প্রতিনিধি ও বৃটিশ নাগরিক ডেভিড বার্গম্যান। সোমবার জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালত কক্ষে মোবাইল ফোনে কথা বললে তাকে আদালত থেকে বের করে দেন বিচারক। এ ঘটনার ঘণ্টাখানেক পরে বার্গম্যান তার ফেইসবুকে এ বিষয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন। তাতে তিনি লেখেন, নিরাপত্তারক্ষীরা পরীক্ষা না করায় অন্য অনেকের মতো তিনিও মোবাইল ফোন নিয়ে আদালত কক্ষে ঢুকেছিলেন, আর পকেট থেকে সেটি বের করেছিলেন অভ্যাসবশে যা দেখে বিচারক তাকে বের করে দেন। ফেইসবুক বার্গম্যান আরও লেখেন, অভ্যাসবশেই পকেট থেকে ফোন বের করেছিলাম, আর বিচারপতি হঠাৎ করেই ধমকে উঠলেন। বললেন, আদালতে ফোন আনা নিষিদ্ধ, আমাকে নাকি আগেও সতর্ক করা হয়েছে। আমি বললাম, ইয়োর অনার, আমাকে আগে সতর্ক করা হয়নি। এ সময় আমাকে বলা হলো- আদালতের বাইরেই একটি নোটিস দেয়া আছে। আর এ কথার পরই বিচারক আমাকে আদালত থেকে বের করে দেন। আদালত থেকে বাইরে আসার সময় ট্রাইব্যুনালের প্রধান তদন্তকারী তার কাছে ঘটনা জানতে চান। বলেন, তার নিজের পকেটেও মোবাইল ফোন ছিল। আদালতের ফটকে নিরাপত্তারক্ষীরা যেহেতু পরীক্ষা করেনি, সেহেতু আমার মনে হয় সবার পকেটেই একটা করে ফোন ছিল। আর আমি নিশ্চিত নই, ওই নোটিসের বিষয়ে কেউ জানে কি না, জানলেও মানে কি না। যাই হোক, পকেট থেকে বের করে আমিই কেবল বেকুব হলাম!!
সৌজন্যে: মানবজমিন
London Bangla A Force for the community…
